
পর্যটকদের জন্য ইন্দোনেশিয়ার বালির দ্বীপ পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল মাস কয়েক আগে। কিন্তু, দ্বীপটিতে হঠাৎ করেই কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে পর্যটকদের জন্য আপাতত বন্ধ করা হল বালি। এই সংক্রমণের বেশিরভাগই মূলত টিকা না নেওয়া স্থানীয়দের মধ্যে হতে দেখা যাচ্ছে।
এর আগে, একজন সরকারী কর্মকর্তা বলেছিলেন যে তাঁরা পর্যটনের জন্য বালি পুনরায় খোলার কথা ভেবেছেন। জুলাইয়ের শেষ কিংবা অগাস্টের শুরুর দিকে এই অভূতপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দ্বীপ পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার লক্ষ্য রেখেছিল তাঁরা। তবে এই সাম্প্রতিক স্পাইকে তাঁরা কোনোরকম রিস্ক নিতে চাইছেন না। তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি আরও অনুকূল হওয়ার জন্য তারা অপেক্ষা করবে।
এটা উল্লেখ করা এক্ষেত্রে জরুরি যে, বালির গভর্নর ওয়েয়ান কোস্টার একটি বিবৃতি জারি করে বলেছিলেন, বিদেশী পর্যটকদের জন্য বালি খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি জানান যে, ইন্দোনেশিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পর্যটকদের বালি সহ দেশের অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশে বিদেশী পর্যটন আবার কবে শুরু হতে পারে তার সিদ্ধান্ত দেশের এবং দেশের বাইরে অবস্থার মূল্যায়নের উপর নির্ভর করবে।
যদিও পর্যটন হল বালির আয়ের প্রাথমিক উৎস তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এখানে আরও বেশি পরিমাণ মানুষকে আনা ঠিক নয় বলেই মনে করছে বালির প্রশাসন। বালির গভর্নর ব্যাখ্যা করেছেন যে বালি কোন ভাবেই ভেঙে পড়বে না। কারণ, এই দ্বীপ বিশ্বের পর্যটন জায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম এবং ইন্দোনেশিয়ার একটা অহঙ্কারও বটে। খুব তাড়াতাড়িই পর্যটন শিল্প পুনরুদ্ধার করার ব্যবস্থা করবে তারা।
জানা গেছে, সাম্প্রতিক মাসগুলিতে ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা পর্যটন ও পরিবহন মন্ত্রীদের নিয়ে একটা দল গঠন করেছেন। এঁরা বেশ কয়েকটি প্রধান পর্যটন অংশীদারদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দ্বীপগুলির পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থা এবং প্রটোকলগুলি পরীক্ষা করে দেখার জন্য। যাতে বিশ্বের দরবারে বাকি দেশগুলির মাঝে ইন্দোনেশিয়াকে খুব তাড়াতাড়ি একটি নিরাপদ দেশ হিসাবে চিহ্নিত করা যায়।
ভবিষ্যতে কি হতে চলেছে তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না কারণ, করোনার পরিস্থিতি যে কোনও সময় পিক নিতেই পারে। তবে, পর্যটনের উন্নয়নের জন্য ইন্দোনেশিয়ার প্রশাসন যে উদ্যোগ নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আশা করা যায়, বালি খুব তাড়াতাড়ি সাধারণ জনগণের জন্য খোলা হবে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের যে অমোঘ ছোঁয়া পর্যটকরা এখানে পেয়ে থাকেন তা সত্যিই অতুলনীয়। চারিদিকের সমুদ্রের মাঝে উঁচু উঁচু বেশ কিছু পাহাড়। সেই সব পাহাড় একদম সবুজ জঙ্গলে মোড়া। সব মিলিয়ে এক অসাধারণ অভিনবত্ব দেখতে পাওয়া যায় বালিতে। পর্যটকদের অত্যন্ত পছন্দের এই জায়গা তাড়াতাড়ি নিজের সাবলীল ছন্দে ফিরে আসুক, এমনটাই আশা করা যায়।
আরও পড়ুন: ফের চালু হয়েছে টয় ট্রেন পরিষেবা, খুশির জোয়ার পাহাড়ে