ফের চালু হয়েছে টয় ট্রেন পরিষেবা, খুশির জোয়ার পাহাড়ে
ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ও দেশের অন্যতম সেরা ঐতিহ্যবাহী ট্রেন যাত্রার মধ্যে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে হল অন্যতম।

পুজোর আগে পর্যটকদের জন্য সুখবর। ফের চালু হয়েছে দার্জিলিংয়ের অন্য়তম আকর্ষণ টয় ট্রেন। করোনার জেরে গত দেড় বছর ধরে বন্ধ থাকার পর ফের পুরোদমে এই হিমালয়ান রেলওয়ের টয় ট্রেন চালু হল পাহাড়ে। জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলং পর্যন্ত এই ঐতিহাসিক ট্রেনটি চালু করা হবে। গত ২৫ অগস্ট থেকেই নিই জলপাইগুড়ি থেকে ট্রেন পরিষেবা চালু করেছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। ১৬ অগস্টের পর থেকে চালু হয়েছে দার্জিলিং-ঘুম-দার্জিলিং রুটের ট্রেনও। পাহাড়ে ফের টয় ট্রেন চালু হওয়ায় খুশির জোয়ার পর্যটক ও পর্য়টন শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে।
করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে ফেরে স্বাভাবিক ছন্দে পিরতে চাইছে পাহাড়। হিমালয়ান রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, পাহাড়ের গা বেয়ে বা সমতলে নয়, এবার শিলিগুড়ি থেকে রংটং পর্যন্ত জঙ্গল সাফারির জন্যও টয় ট্রেন পরিষেবা চালু করা হয়েছে। তাতে পাহাড়ের সৌন্দর্যের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ ও দার্জিলিংয়ের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে টয় ট্রেন সাফারির আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা। এবছর পুজোর ছুটিতে টয় ট্রেনের আকর্ষণেই দার্জিলিংয়ে ফের পর্য়টকের ভিড় বাড়তে পারে বলে আশা প্রকাশ করছেন অধিকাংশ।
জানা গিয়েছে, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে দার্জিলিং স্টেশন পর্যন্ত এই টয় ট্রেন পরিষেবা চালু করা হয়েছে। আবার দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত এই হেরিটেজ ট্রেন পরিষেবা পর্যটকদের জন্য় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেল দপ্তরের এক আধিকারিক। ট্রায়াল রানের পর পুরোদমে গত বুধনার থেকে এই ট্রেন পরিষেবা চালু করা হয়েছে। পর্যটকের সংখ্যা এই মুহূর্তে কম হলেও, আগামী দিনগুলিতে যে এই হেরিটেজ ট্রেনের টানে ভিড় বাড়বে তা নিয়ে আশাবাদী রেল আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন অনুসারে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়েকে বেসরকারিকরণের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা শুরু হয়েছে। তবেএখনও তা কার্যকর হয়নি। এই ধরনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাওয়া একমাত্র ঐতিহ্যবাহী রেল নয়, কালকা সিমলা রেলওয়ে, মাথেরান রেলওয়ে এবং নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ের ভাগ্যেও বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়ার সম্মুখীন হতে পারে।
আরও পড়ুন: বিচিত্র কিন্তু স্বাস্থ্যকর! এবার সুস্থ থাকতে কোকা-কোলা লেকে ভিড় করছেন পর্যটকরা





