কেরালার পর এবার হিমাচল প্রদেশেও শুরু হতে চলেছে ক্যারাভান পর্যটন ব্যবস্থা। পর্যটকদের জন্য সত্যিই দারুণ সুখবর। কারণ সারা বিশ্বে, ক্যারাভান পর্যটন, পর্টকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে কোভিড অতিমারি থেকে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পিছনে একটি যুক্তিপূর্ণ কারণ রয়েছে। কোভিডের কারণে মাননুষ সামাজিকভাবে অনেক লোকের সহ্গে না মিশে গিয়ে বাবল এরিয়ার মধ্যে নিজেদের রাখতে বেশি সুরক্ষিত মনে করছেন।
হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর তার বাজেট বক্তৃতার সময় ঘোষণা করেছিলেন, সরকার এই পর্যটন মডেলের প্রচার ও বিকাশ করবে। সঙ্গে সার্কিটগুলোও তৈরি করবে। বিশেষ করে এমন জায়গায় যেখানে পর্যাপ্ত হোটেল একেবারেই নেই। ভারতের অন্যান্য রাজ্য যেমন কেরালা, গোয়া ও কর্ণাটকে ইতিমধ্যে ক্যারাভান পর্যটনের প্রচারের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ক্যারাভান পর্যটনের লক্ষ্য হল দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করা।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ঐতিহ্যবাহী কাঠকুনি শৈলীর স্থাপত্যের সাইটগুলিকে অন্যান্য ট্যুরিস্ট সার্কিট এবং কাংড়ার আর্ট গ্যালারির সাথে যুক্ত করা হবে।হিমাচলের ঐতিহাসিক দুর্গগুলিকেও পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে গড়ে তোলা হবে, সঙ্গে থাকবে বিভিন্ন মাউন্টেন বাইকিং ট্র্যাক। শুধু তাই নয়, হিমাচল প্রদেশের পর্যটন শিল্পকে আরও উন্নত করতে লারজি এবং তাতাপানিতে জল ক্রীড়া, বীর বিলিং এবং চান্সালে প্যারাগ্লাইডিং এবং মান্ডিতে শিব ধাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পুরো প্রকল্প তৈরি করতে প্রায় ৫০কোটি টাকা ব্যয় করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া সরকার হেরিটেজ বিল্ডিং, ইকো-ট্যুরিজম, ওয়াটার স্পোর্টস ওয়েলনেস সেন্টার, বৌদ্ধ সার্কিট এবং আরও অনেক কিছুর সংরক্ষণকে দুই ধাপে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েছে রাজ্য় পর্যটন বিভাগ।
প্রসঙ্গত, হিমাচল প্রদেশ হল দেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন গন্তব্যস্থল। রোমাঞ্চকর ও দুঃসাহসিক অভিজ্ঞতার জন্য হিমাচল প্রদেশে বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে পর্যটনের জন্য যথেষ্ট সুযোগ।
আরও পড়ুন: Ladakh Tourism: সামনে লাদাখ ভ্রমণের প্ল্যান করছেন? যাওয়ার আগে মাথায় রাখুন এই নয়া নির্দেশিকাগুলি