Pauri: উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়ালে ভ্রমণের প্ল্যান করলে কোন জায়গাকে অবশ্যই বাকেট লিস্টে রাখবেন, দেখে নিন

megha | Edited By: দীপ্তা দাস

Jan 08, 2022 | 11:50 AM

শহর হিসাবে ঘিঞ্জি হলেও এই শহরের একটি নিজস্বতা রয়েছে। বলতে পারেন এটা প্রকৃতির অপরূপ কৃপা কিংবা ওই পাহাড়ি মানুষদের ভালবাসা। তবে পাউড়ির সৌন্দর্য সত্যিই মন কেড়ে নেওয়ার মত।

Pauri: উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়ালে ভ্রমণের প্ল্যান করলে কোন জায়গাকে অবশ্যই বাকেট লিস্টে রাখবেন, দেখে নিন
পাউড়ি। ছবি সৌজন্যে- GettyImages

Follow Us

উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়ালে যখন ভ্রমণের প্রসঙ্গ আসে, তখন কোনও ভাবেই বাদ দেওয়া যায় না পাউড়ি জেলাকে। হিমালয়ের কোলে প্রকৃতির কাছাকাছি যদি কোথাও নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চান, তাহলে একবার হলেও ঘুরে যান পাউড়ি থেকে। যদিও একটা জেলার মধ্যে এতগুলো শৈলশহর ও গ্রাম রয়েছে যে পুরো ট্যুরটাই আপনাকে পাউড়িকে কেন্দ্র করে তৈরি করতে হবে। তবে এখানে এসে যে কোনও ভাবেই নিরাশ হবেন না তা নিশ্চিত।

পাউড়ি জেলার প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হল সদর শহর পাউড়ি। দেরাদুন থেকে এই শহরের দূরত্ব মাত্র ১৫০ কিলোমিটার। শহর হিসাবে ঘিঞ্জি হলেও এই শহরের একটি নিজস্বতা রয়েছে। বলতে পারেন এটা প্রকৃতির অপরূপ কৃপা কিংবা ওই পাহাড়ি মানুষদের ভালবাসা। তবে পাউড়ির সৌন্দর্য সত্যিই মন কেড়ে নেওয়ার মত।

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮১৪ মিটার উঁচুতে অবস্থিত এই পাহাড়ি শহর থেকে আপনি হিমালয়ের প্যানারমিক ভিউ দেখতে পাবেন। স্বর্গারোহিনি, বান্দার পুঞ্চ, থলিয়াসাগর, সুমেরু, কেদারনাথ, নীলকণ্ঠ, চৌখাম্ব, নন্দাদেবী এবং ত্রিশূলের মত পর্বতগুলি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এমন দৃশ্য কি সহজে দেখা যায়? শহরের বাইরে ৪ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে চৌখাম্ব ভিউ পয়েন্ট। ইচ্ছা হলে সূর্যাস্ত দেখতে যেতে পারেন সেখানে।

ল্যান্সডাউন। ছবি সৌজন্যে- GettyImages

পাউড়ি জেলার মধ্যে আরও দুটি জায়গা রয়েছে যা পর্যটকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। একটি হল ল্যান্সডাউন এবং অন্যটি খিরসু। পাউড়ি শহর থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ল্যান্সডাউন। ল্যান্সডাউনের প্রাকৃতিক দৃশ্য কিংবা জায়গাটি সম্পর্কে বর্ণনা করতে গেলে একটু পিছনে ফিরে তাকানো ভাল। ল্যান্সডাউনকে ব্রিটিশদের শহর বললেও ভুল হবে না। ১৮৮৭ সালে এই জায়গায় তৈরি হয় গাড়োয়ালি রাইফেলস। তখন থেকেই এই জায়গায় নাম ল্যান্সডাউন। তার আগে এই জায়গাকে স্থানীয়রা কালুডাণ্ডা নামেই চিনত।

ব্রিটিশদের তৈরি শহর তাই এই শহরের আনাচে-কানাচে এখনও রয়েছে অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান ছোঁয়া। রয়েছে ব্রিটিশদের তৈরি দুটি গির্জা। তার মধ্যে সেন্ট মেরীর গির্জা স্বাধীনতার পর মিউজিয়ামে পরিণত হয়েছে। আর্মি ক্যান্টনমেন্ট হওয়ায় এখানে পর্যটকদের ভিড় তুলনামূলক ভাবে কম। ওক, পাইনের সমাহারের মাঝেই রয়েছে একটি ছোট্ট লেক। একান্তে কিছুটা সময় কাটাতে চাইলে পাউড়ি থেকে ঘুরে যেতে পারেন ল্যান্সডাউনে। আর যদি শহুরে সভ্যতা থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চান, তাহলে সময় নিয়ে চলে যান খিরসুতে।

খিরসু। ছবি সৌজন্যে- GettyImages

খিরসুকে পর্যটনদের কাছে জনপ্রিয়ও বলা যেতে পারে, আবার একে অফবিট ডেস্টিনেশন বললেও ভুল হবে না। পাউড়ি সদর শহর থেকে মাত্র ৪৫ মিনিটের পথ খিরসু। যদি ঘন সবুজ জঙ্গলের মধ্যে হারিয়ে যেতে চান, যদি প্রকৃতির মাঝে নিজেকে খুঁজে পেতে চান তাহলে খিরসুর কোনও বিকল্প নেই।

এই পাহাড়ি হ্যামলেটকে উত্তরাখণ্ডের ‘জনপ্রিয় অফবিট’ বলা চলে। যেসব ভ্রমণপিপাসুরা একটু বেশি সময় কাটাতে চান হিমালয়ের সঙ্গে, তাঁরা কোনও ভাবেই ভ্রমণের তালিকা থেকে বাদ দেন না খিরসুকে। ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম হলেও আপনি খিরসু থেকেও পঞ্চচুল্লি, নন্দাদেবী, নন্দাকোট ও ত্রিশূলের দৃশ্য দেখতে পাবেন। তাই গাড়োয়াল যাওয়ার প্ল্যান করলে পাউড়ির সঙ্গে ল্যান্সডাউন ও খিরসুকে বাকেটলিস্টে রাখতে ভুলবেন না যেন…

আরও পড়ুন: প্রথমে ট্রেকিং তারপর স্কিইং! উত্তরাখণ্ডের কোন জায়গায় পাবেন এমন সুযোগ?

Next Article