Gokarna: বর্ষায় আর দিঘা-পুরী নয়, অগস্টের লং উইকএন্ড কাটুক গোকর্ণের সমুদ্রতটে
Monsoon Destination: তিন দিনের ছুটিতে অনায়াসে ঘুরে নেওয়া যায় গোকর্ণ। সমুদ্র সৈকতই গোকর্ণের মূল আকর্ষণ। এছাড়াও রয়েছে মহাবালেশ্বর মন্দির। আরব সাগরের তীরে হওয়ায় এই শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও চোখ ধাঁধানো।
জুলাই মধ্যভাগে দেশের বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চল থেকে যেসব বিপর্যয়ের সংবাদ আসছে, তাতে অগস্টে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনায় আনতে হবে ছোট্ট পরিবর্তন। উত্তরের পাহাড়ে যাওয়ার বদলে বেছে নিন কর্ণাটকের গোকর্ণকে। শহর হলেও প্রাকৃতিক পরিবেশের কাছাকাছি থাকার সুযোগ রয়েছে গোকর্ণে। যদিও গোকর্ণ জনপ্রিয় এর শান্ত, নিরিবিলি সমুদ্র সৈকতের জন্য। আর বাজেট নিয়ে ভাবছেন? পকেটে হাজার পাঁচেক থাকলেই ঘুরতে পারবেন গোকর্ণ। অগস্টের লং উইকএন্ডের জন্য পারফেক্ট ডেস্টিনেশন এই গোকর্ণ।
আরব সাগরের তীরে গোকর্ণ। বালুচর ধরে দক্ষিণ দিকে হাঁটা দিলে সমুদ্রতট গিয়ে মেশে পাহাড়ের সঙ্গে। আবার পাহাড় টপকালেই আরেকটা সমুদ্র সৈকত। নাম কুদলে। এমন অনেক ছোট ছোট সমুদ্র সৈকত রয়েছে গোকর্ণ জুড়ে। সবচেয়ে জনপ্রিয় ওম সমুদ্র সৈকত। সুনীল আরব সাগরের সৌন্দর্য বৃষ্টির দিনে ওমে বসে উপভোগ করতে পারবেন। গোকর্ণের বাসট্যান্ড থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটারের পথ এই ওম সমুদ্র সৈকত। ওমের বালিচরও শেষ হয় কোনও এক পাহাড়ের কাছে গিয়ে। পাহাড় বেয়ে যদি উপরে ওঠেন, তাহলে দেখতে পাবেন নিচের আরব সাগর। পাহাড়ের নিচে উপর আঁছড়ে পড়ছে ঢেউ। পাহাড়ের উপর থেকে ওম সমুদ্র সৈকতকে দেখলে মনে হয়, যেন পাশাপাশি দুটো অর্ধচন্দ্রাকৃতি ‘ও’।
গোকর্ণ, কুদলে, ওম ছাড়াও আরও অনেক সমুদ্র সৈকত রয়েছে এই শহরে। প্যারাডাইস বিচ, হাফ মুন বিচের মতো বেশ কয়েকটি জায়গাও পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়। এই দুই সমুদ্র সৈকতে ট্রেক করেন বহু পর্যটক। গোকর্ণের সমুদ্র সৈকতগুলো একান্তে সময় কাটানো বা কোস্টাল ট্রেকের (যে ট্রেক সমুদ্রের পার ধরে করা হয়) জন্য আদর্শ। কিন্তু বোল্ডার থাকায় এখানে স্নান করা বিপজ্জনক। এমনকী বোল্ডারে ওঠাও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
তিন দিনের ছুটিতে অনায়াসে ঘুরে নেওয়া যায় গোকর্ণ। সমুদ্র সৈকতই গোকর্ণের মূল আকর্ষণ। এছাড়াও রয়েছে মহাবালেশ্বর মন্দির। এই শিব মন্দিরে তীর্থযাত্রীদের ভিড় বেশি। এটি প্রায় ১৫০০ বছর পুরনো শিব মন্দির। এখানে রয়েছে ৬ ফুট লম্বা শিব লিঙ্গ।
এসবের বাইরে খুব বেশি পর্যটক কেন্দ্র নেই গোকর্ণে ঘুরে দেখার মতো। কিন্তু গোকর্ণ থেকে আপনি হোন্নাভার, আঙ্কোলা, কারোয়ারের মতো জায়গাগুলো ঘুরে নিতে পারেন। গোকর্ণ থেকে হোন্নাভার, আঙ্কোলা, কারোয়ার ইত্যাদি ঘণ্টা দু-তিনেকের দূরত্বে অবস্থিত। এখানেও আপনি সমুদ্র সৈকত, পাহাড়, নদী এসবই দেখতে পাবেন। পাশাপাশি বাস, অটো করেই ঘুরে নিতে পারবেন এসব জায়গা। তাই বাজেটের দিক দিয়েও সাশ্রয়ী হবে গোকর্ণ।