Gurdum-Manebhanjan: সান্দাকফুর দিকে নয়, এবার মানেভঞ্জন থেকে পাড়ি দিতেই হবে যে অফবিট জায়গায়

Offbeat Destination: সান্দাকফু থেকে ট্রেক করে নামার পথে অনেকেই রাত্রিযাপন করে এই গুরদুমে। কিন্তু গুরদুমে শুধু রাত্রিযাপন করলে চলবে না। ঘুরে দেখতে হবে গোটা গ্রাম। তবেই তো খুঁজে পাবেন এর সৌন্দর্য। গোটা গ্রাম ঘেরা রডোডেনড্রন আর পাইনে।

Gurdum-Manebhanjan: সান্দাকফুর দিকে নয়, এবার মানেভঞ্জন থেকে পাড়ি দিতেই হবে যে অফবিট জায়গায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 23, 2023 | 9:30 PM

গরমে অতিষ্ঠ প্রাণ? নিস্তার পেতে দার্জিলিংমুখী হবেন ভাবছেন? সে সুযোগও নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ঘুরছে দার্জিলিং ম্যালের ঘিঞ্জি ছবি। সেই দেখে আপনিও নিশ্চয়ই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু পাহাড়িমুখী হওয়ার সুযোগ এখনও রয়েছে। বরং, দার্জিলিং থেকে আরেকটু দূরে এবং সান্দাকফুর অনেকটা কাছাকাছি বেড়াতে যেতে পারেন। সাধারণত সান্দাকফু ট্রেক করাই পছন্দ করেন বেশিরভাগ মানুষ। তবে, এমন বেশ কিছু জায়গা রয়েছে যা গাড়িতেই পৌঁছানো যায় এবং উপভোগ করা যায় পাহাড়ের নিস্তব্ধতা। জায়গার নাম গুরদুম।

শ্রীখোলা যাওয়ার পথে পড়ে এই পাহাড়ি গ্রাম। সান্দাকফু থেকে ট্রেক করে নামার পথে অনেকেই রাত্রিযাপন করে এই গুরদুমে। কিন্তু গুরদুমে শুধু রাত্রিযাপন করলে চলবে না। ঘুরে দেখতে হবে গোটা গ্রাম। তবেই তো খুঁজে পাবেন এর সৌন্দর্য। প্রায় ৮ হাজার ফুট উচ্চতায় সিঙ্গোলিলা জাতীয় উদ্যানে অবস্থিত এই গুরদুম। গোটা গ্রাম ঘেরা রডোডেনড্রন আর পাইনে। বসন্তে গেলে লাল রডোডেনড্রনের দেখাও মিলবে গুরদুমের কোলে বসে। তাছাড়া পাহাড়ি ফুল ও অর্কিড তো আছেই। তবে গুরদুমের সূর্যোদয় সবচেয়ে সুন্দর। ভোরবেলা পাখির ডাকে ঘুম ভাঙলে দেখতে পাবেন কীভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘার রং বদলাচ্ছে সূর্যের কিরণে।

মানেভঞ্জন থেকে একটি রাস্তা চলে যায় চিত্রে, মেঘমার দিকে। আরেকটি রাস্তা যায় মাজুয়ার দিকে। গুরদুম যাওয়ার জন্য আপনাকে মাজুয়ার রাস্তা ধরতে হবে। মানেভঞ্জন থেকে গুরদুম মাত্র ১২ কিলোমিটারের পথ। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গুরদুম প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। আর যদি দার্জিলিং থেকে যান তাহলে এটি ৯৩ কিলমিটারের রাস্তা। সান্দাকফু ট্রেক করে অনেকেই গুরদুম আসেন। কিন্তু আপনি চাইলে সরাসরি মানেভঞ্জন থেকে গুরদুম পৌঁছে যেতে পারেন।

সূর্য ডুব দিলেই পাহাড়ে আর কোনও কিছু করার থাকে না। তাই যতক্ষণ সূর্যের আলো রয়েছে, ঘুরে দেখে নিন গোটা গ্রাম। মাত্র ১৫টি পরিবার মিলে গড়ে উঠেছে গ্রামটি। শহুরে কোলাহল ও দূষণের এখানে চিহ্ন মাত্র নেই। এমনকী এই গ্রামের মানুষেরা প্লাস্টিক ব্যবহার করেন না। যে পাহাড় তাঁদের বাসস্থান, তাঁদের জীবিকার মাধ্যমে তাকে রক্ষা করে তাঁরা।

গ্রাম ঘোরা হয়ে গেলে এখানে যেতে পারেন মাজুয়া। পায়ে হেঁটে, ট্রেক করেও পৌঁছানো যায় মাজুয়া। এছাড়া গুরদুম থেকে ট্রেক করে নামতে পারেন চিত্রেতেও। আর যদি হাতে বেশি সময় নিয়ে যান, তাহলে ঘুরে দেখতে পারেন ধোত্রে, টুমলিং ইত্যাদি। মাজুয়া যাওয়ার পথে ঘুরে নিতে পারেন থ্রি সিস্টার জলপ্রপাত, দুমবার খোলা জলপ্রপাত এবং সানত্রে জলপ্রপাত। এগুলোই শোভা বাড়িয়ে তুলেছে এই অঞ্চলে।

গুরদুম থেকে বেশ কয়েকটি হোমস্টে রয়েছে। এছাড়া গুরদুমে থাকতে পারেন তাঁবুতে। এই অভিজ্ঞতাও অ্যাডভেঞ্চারের চাইতে কম কিছু নয়। গুরদুমে ব্যাকপ্যাকার্স রয়েছে, সেখানেই আপনি এই যাবতীয় সুবিধা পেয়ে যাবেন। গুরদুম রাত্রিযাপন এবং খাওয়া-দাওয়া নিয়ে মাথাপিছু ১,৫০০ টাকা খরচ হতে পারে। আর গুরদুম যাওয়ার সেরা সময় গ্রীষ্মকাল, শীতকাল এবং বসন্তকাল। বর্ষায় এই পাহাড়ি গ্রাম এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।