সুখবর! সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল দেশের প্রথম ক্য়ানোপি ওয়াকওয়ে!
কালী টাইগার রিজার্ভের অদূরেই রয়েছে বিখ্যাত দুধসাগর জলপ্রপাত। কুভেশি এলাকা থেকে ট্রেকিং করে এই অসাধারণ জলপ্রপাতকে চাক্ষুস করতে পারবেন।
জঙ্গল সাফারি যদি পছন্দের হয় তাহলে কর্ণাটকের কালী টাইগার রিজার্ভের কথা মাথায় রাখতে পারেন। কারণ জঙ্গলের নীচ দিয়ে নয় এবার বাঘেদের ডেরা দেখতে প্রথম ক্যানোপি ওয়াকের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। পরিবেশ ও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এই কালী রিজার্ভ ফরেস্ট উত্তর কন্নড় জেলায় অবস্থিত। বাংলার রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ও কালো প্যান্থার রয়েছে এই ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রে।
চারটি ৩০ ফুট উচ্চতায় বড় বড় গাছের সঙ্গে ক্যানোপি ওয়াকওয়ে যুক্ত করা হয়েছে। প্রকৃতি, বন্য জীবজন্তু ও ফোটোগ্রাফির প্রতি আলাদা কৌতূহল থাকে, তাহলে এই দুর্দান্ত জঙ্গল সাফারি করা একেবারেই ভুলবেন না। ক্যানোপি ওয়াকের জন্য বনের পশুরা তাঁদের ডেরায় স্বাভাবিক আচরণ ও নিশ্চিন্তে ঘোরাফেরা করতে পারবে। চার বছর আগে তৈরি হওয়া এই ওয়াকওয়ে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া ছিল না। এবার জঙ্গলের মাধুর্য ও রোমাঞ্চকর পরিবেশ উপভোগ করততে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে এই আকর্ষমীয় ওয়াকওয়ে।
কালী টাইগার রিজার্ভের অদূরেই রয়েছে বিখ্যাত দুধসাগর জলপ্রপাত। কুভেশি এলাকা থেকে ট্রেকিং করে এই অসাধারণ জলপ্রপাতকে চাক্ষুস করতে পারবেন। তবে এই ক্যানোপি ওয়াকওয়ের জন্য জলপ্রপাতের কাছে যাওয়ার যাত্রাপথ অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে।
বনবিভাগের এক আধিকারিকের কথায়, দীর্ঘদিন ধরে সাধারণের জন্য, পর্যটকরা যাতে হেঁটেই জঙ্গলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন, তারজন্য এই ওয়াকওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই মরসুম থেকেই পর্যটকদের জন্য গাইড ট্যুর শুরু করা হয়েছে। জঙ্গল সাফারির গাড়িগুলি বর্তমানে পর্যটকদের বনের চেক পয়েন্টে পৌঁছে দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কালী নদী এই সংরক্ষিত এলাকার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তাই এই জঙ্গলের নাম রাখা হয়েছে কালী টাইগার রিজার্ভ।
আরও পড়ুন: হাতের নাগালেই রয়েছে জঙ্গল সফরের সুযোগ! কলকাতার অদূরেই মিলবে শান্তির ঠিকানা