ব্যাপক বর্ষণ ও তুষারপাতের জেরে হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে সম্প্রতি ঘটে গিয়েছে অপ্রীতিকর ঘটনা। এই মরসুমে পাহাড়ি এলাকায় পর্যটকদের যেমন ভিড় থাকে, তেমনি বিপুল সংখ্যক অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীরাও পাহাড়ে ট্রেকিং ও মাউন্টেরিং করেন। প্রকৃতির কাছে সকলেই সমান। সম্প্রতি, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক ঘটনা। আগামীদিনগুলিতে যাতে এই মর্মান্তিক ঘটনা না ঘটে, তার জন্য সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশের কিন্নর জেলা প্রশাসন ভূমিধস এবং তুষারপাতের জেরে জেলা জুড়ে পর্বতারোহণ এবং ট্রেকিং নিষিদ্ধ করেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি মরসুমে করোনাকে সঙ্গী করেই হিমালয়ের কোলে অবস্থিত অসাধারণ কিন্নর জেলায় রোমাঞ্চকর ট্রেকাররা ভিড় করেন। কিন্নর ডিসি অপূর্ব দেবগন বলেছেন যে, শীতের শুরুতে এবং মরসুমের সময় জলবায়ু পরিবর্তিত হয়, যা ট্রেকারদের জীবনের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তিনি আরও জানিয়েছেন, নিখোঁজ ট্রেকারদের খুঁজে বের করার জন্য এই ধরনের চরম পরিস্থিতিতে অনুসন্ধান অভিযান পরিচালনা করাও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
সম্প্রতি, রোহরু থেকে সাংলা যাওয়ার পথে ১২জন পর্বতারোহীর মধ্যে পাঁচজন নিখোঁজ হয়ে যান। পরে তিনজন পর্যটককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ওই তিনজন মুম্বইয়ের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। খোঁজ চলছে নিখোঁজ ২ ট্রেকারের। এই মর্মান্তিক ঘটনার পরই এমন বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি কিন্নর জেলায় প্রবল তুষারপাতের কারণে তিনজন ট্রেকার প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সম্প্রতি জেলায় প্রবল তুষারপাতের কারণে তিনজন ট্রেকার প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, দিল্লির একজন ও মুম্বই থেকে ১২জন সিমলার জঙ্গলিক থেকে কিন্নুরের সাংলায় ট্রেকিংয়ের জন্য যাচ্ছিলেন। গত ১৭ অক্টোবর রোহরু থেকে বুরুয়া গ্রামে তাঁরা যাত্রা শুরু করেছিলেন।, কিন্তু খারাপ আবহাওয়া এবং ভারী তুষারপাতের কারণে বুরুয়া কান্দার শীর্ষের কাছে আটকে পড়েছিলেন। উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের বেশ কয়েকটি এলাকা গত সপ্তাহে তুষার আচ্ছাদিত পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: Sariska Tiger Reserve: পর্যটকদের ইচ্ছাপূরণের জন্য বিখ্যাত এই অভয়ারণ্যে বাড়ছে সাফারি জোন!