Darjeeling: লেপচাজগতও এখন একঘেঁয়ে, মাঝে দু’দিন কাটিয়ে নিন মিম চা বাগানে
Tea Garden: লেপচাজগত থেকে সহজেই ঘুরে আসা যায় সুকিয়াপোখরি। এই দুই জায়গার মাঝে পড়ে মিম চা বাগান।
পাহাড়ের টানে বার বার ছুটে যেতে হয় উত্তরবঙ্গে। এখন উত্তরবঙ্গের আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে অফবিট। অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়েছে উত্তরকন্যার কোলে লুকিয়ে থাকা চা বাগানগুলোও। উত্তরবঙ্গে মানেই সবুজে মোড়া পাহাড় আর তার কোলে বসে কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য দেখা। এমনই একটি চা বাগান এখন জনপ্রিয় হচ্ছে বাঙালি পর্যটকদের মধ্যে। নাম মিম চা বাগান। দার্জিলিংয়ের সীমানার মধ্যে অবস্থিত এই চা বাগান। বর্তমানে দু’দিনে ছুটি কাটাতেও অনেকে ছুটে যান লেপচাজগতে। পাইনে ঘেরা এই ছোট্ট গ্রাম মন কেড়ে নিতে বাধ্য। এই লেপচাজগত থেকে সহজেই ঘুরে আসা যায় সুকিয়াপোখরি। এই দুই জায়গার মাঝে পড়ে মিম চা বাগান।
লেপচাজগত ও সুকিয়াপোখরির মাঝে রয়েছে এই সবুজে মোড়া মিম চা বাগান। এর সঙ্গে রয়েছে ছোট্ট গ্রাম। দার্জিলিং থেকে খুব একটা দূরে অবস্থিত নয় এই জায়গা। এমন শান্ত ও নিরিবিল পরিবেশ যে মন চাইবে দু’দিন কাটিয়ে আসতে। এখান থেকে দেখা যায় মায়ায় মোড়া দার্জিলিং। রাত বাড়লে দেখা যায় দূরে টিমটিম করে জ্বলে উঠেছে দার্জিলিং। এখান থেকে দেখা মেলে কাঞ্চনজঙ্ঘারও। সূর্যোদয়ের সঙ্গে শোভা পায় কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য।
ঘুম স্টেশন থেকে গাড়ি করে মিম চা বাগানে পৌঁছে যেতে পারেন। পথে পড়বে আরও দু’টি জায়গা। মিম চা বাগান যেমন সুন্দর তেমনই সুন্দর গোপালধারা চা বাগান। এটি মিম চা বাগান যাওয়ার পথেই পড়ে। এই রাস্তায় পড়ে সিমানা ভিউ পয়েন্ট। তবে মিম চা বাগান যাওয়ার সুবিধে হল এখানে থাকার জন্য রয়েছে হোমস্টে আর কাঠের তৈরি গেস্ট হাউস। প্রকৃতির মাঝে বেশ কয়েকটা দিন অনায়াসে কাটিয়ে দিতে পারেন এখানে।
তবে উত্তরকন্যার কোলে অবস্থিত এই মিম চা বাগানের সবচেয়ে বড় সম্পদ হল এখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এখানের প্রকৃতির নিস্তব্ধতার টানে বার বার আপনার এখানে ফিরে আসতে ইচ্ছা করবে। দার্জিলিং টি-র কাপ হাতে নিতে কাঞ্চনজঙ্ঘার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পারেন এখানে। কিংবা দুপুরে মিঠে রোদকে সঙ্গে নিয়ে পাইন গাছের জঙ্গলে প্রকৃতির কোনও রহস্যের সন্ধানে বেরিয়ে পড়তে পারেন। আর যদি মিম চা বাগানে মন ভরে যায় তাহলে এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন সুকিয়াপোখরি, মিরিক, লেপচাজগত। ইচ্ছা করে ঘুরে আসতে পারেন রঙ্গিত নদীর ধার থেকেও।