আপনি কি শিল্প প্রেমী, মানে যাঁকে বলে আর্ট লাভার? বেড়াতে গেলে সব জায়গা থেকে সংগ্রহে রাখেন নজরকাড়া সব জিনিস… তাহলে ভারতে এই পাঁচটি গ্রামে অন্তত একবার হলেও আপনার ঘুরে আসা উচিত। কোথাও পাবেন মন ভাল করা শাড়ির সম্ভাব, কোথাও বা হাতের কাজের জিনিস। একবার গেলে বারবার ফিরতে ইচ্ছে করবে এইসব গ্রামে। চলুন দেখে নেওয়া যাক এই গ্রামের তালিকায় রয়েছে কোন কোন ডেস্টিনেশন।
হিমাচল প্রদেশের আনদ্রেত্তা- হিমালয়ের কোলে এই গ্রাম ছবির মতোই সাজানো। সুন্দর মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশের পাশাপাশি আনদ্রেত্তার মৃৎশিল্প বা পটারি এবং ক্র্যাফট সোসাইটি খুবই বিখ্যাত। হিমাচলের তো বটেই, এই গ্রামের পটারি বা মৃৎশিল্প ভারত বিখ্যাত। মিনিয়েচার পেন্টিংয়েরও দারুণ কালেকশন দেখা যায় এই গ্রামে। অন্তত একবার হিমাচল প্রদেশের এই গ্রামে কিন্তু ঘুরে আসতেই হবে।
রাজস্থানের শিল্পগ্রাম- উদয়পুরের ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত এই গ্রামের মূল আকর্ষণ রাজস্থানি নাচ। এখানকার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে রয়েছেন দারুণ সব নৃত্যশিল্পী। তাঁদের পারফরম্যান্স দেখলে আপনার দু’চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনও ভরবে। এছাড়াও এখানে রয়েছে বিভিন্ন রঙিন চিত্র, ভাস্কর্য, মুর্যাল এবং আরও অনেক কিছু। এখানে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে ডিসেম্বরের শেষে ঘুরতে যান। তখন এই গ্রামে Shilpgram Art and Crafts Festival হয়। গ্রামে বসে এক দারুণ মেলা। ১০ দিন ধরে চলে উৎসব।
পশ্চিমবঙ্গের বিষ্ণুপুর- ষোড়শ শতাব্দীতে মল্ল রাজাদের রাজধানী ছিল এই বিষ্ণুপুর। উনিশ শতক পর্যন্ত ছিল এই রাজধানী। অপরূপ টেরাকোটা মন্দিরের পাশাপাশি এখানকার অন্যতম আকর্ষণ বিষ্ণুপুরের সিল্কের শাড়ি। এছাড়াও রয়েছে শঙ্খ এবং ঝিনুকের তৈরি গয়না, ডোকরার কাজের গয়না। আর রয়েছে বালুচরি শাড়ি।
গুজরাটের সাতপুরা- গুজরাটের দাং জেলার আকর্ষণীয় ‘হিল স্টেশন’ এই সাতপুরা। আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফটস ও পেন্টিংয়ের জন্য এই গ্রাম বিখ্যাত। এখানকার ট্রাইবাল আর্ট আপনাকে মুগ্ধ করবে।
তেলেঙ্গানার পচমপল্লী- হায়দরাবাদ থেকে ৪২ কিলোমিটার দূরে রয়েছে পচমপল্লী গ্রাম। এখানকার গ্রামের তাঁতিদের বোনা পচমপল্লী শাড়ি খুবই জনপ্রিয়। অনেকটা ইক্কত শাড়ির ধরনের এই পচমপল্লী ধাড়ির টাই অ্যান্ড ডাই পদ্ধতি। এখানকার গামছাও অত্যন্ত জনপ্রিয়।
আরও পড়ুন- দেশের এই ৪ জায়গায় বেড়াতে গেলেও ভারতীয়দের নিতে হয় ‘স্পেশাল’ অনুমতি! কেন জানেন?