দেশের এই ৪ জায়গায় বেড়াতে গেলেও ভারতীয়দের নিতে হয় ‘স্পেশাল’ অনুমতি! কেন জানেন?
এই ধরনের পারমিট সাধারণত দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী স্পর্শকাতর এলাকাগুলির জন্য স্পেশাল পারমিশন নিতে হয়। সেখানকার মানুষজনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ,উপজাতিদের সংস্কৃতি সুরক্ষিত রাখতে ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এই অনুমতির প্রয়োজন পড়ে।
ভারতের এমন কিছু কিছু জায়গা রয়েছে, যেখানে বিদেশিদের নয়, ভারতীয়দেরই প্রবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন।শুনে অবাক লাগতেই পারে। কারণ আমরা জানি আন্তর্জাতিক সফরের পরিকল্পনা করার সময় ভারতীয়দের অন্যান্য বিশেয়ের পাশাপাশি ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। সেক্ষেত্রে ভারতের এমন কয়েকটি গন্তব্যে পরিদর্শনের আগে ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে অনুমতি নিতে হয়।
প্রসঙ্গত, এই ধরনের পারমিট সাধারণত দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী স্পর্শকাতর এলাকাগুলির জন্য স্পেশাল পারমিশন নিতে হয়। সেখানকার মানুষজনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ,উপজাতিদের সংস্কৃতি সুরক্ষিত রাখতে ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এই অনুমতির প্রয়োজন পড়ে। তাই দেশের এমন কয়েকটি জায়গা পরিদর্শন করার জন্য রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়ম, সেই জায়াগাগুলির তালিকা এখানে দেওয়া হল,
অরুণাচল প্রদেশ
মায়ানমার, ভূটান ও চিনের সীমান্ত লাগোয়া এই রাজ্যটি দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বেশ স্পর্শকাতর। প্রত্যকেটি এলাকা টপকাতে গেলে এখানে রয়েছে আভ্য়ন্তরীন লাইন। যাঁরা এখানে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন, তাঁরা নয়া দিল্লি, কলকাতা, গুয়াহাটি ও শিলং থেকে আবাসিক কমিশনার, অরুণাচল প্রদেশ সরকারের কাছ থেকে সুরক্ষিত এলাকায় যাওয়ার অনুমতি মিলতে পারেন। নূন্যতম ৩০ দিনের জন্য জনপ্রতি ১০০টাকা করে, সিঙ্গল ই-আইএলপি ও গ্রুপ ই-আইএলপি সংগ্রহ করতে পারেন। অনলাইনের সুবিধাও রয়েছে।
নাগাল্যান্ড
নাগাল্যান্ডের পূর্বে রয়েছে মায়ানমারের সীমান্ত। এখানে প্রা. ১৬টি উপজাতির বাসস্থান। তাঁদের রয়েছে নিজস্ব ভাষা, রীতিনীতি, সংস্কৃতি ও খাবার। যাঁরা এই ডেস্টিনেশনে যেতে চান, তাঁরা ভ্রমণের জন্য একটি ইনার লাইন পারমিটের প্রয়োজন হয়। কোহিমা, ডিমাপুর, নয়াদি্লি, মোকোকচুং, সিলং, কলকাতায় জেলাপ্রশাসকদের কাছ থেকে অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়া অনলাইনেও রয়েছে পারমিট পাওয়ার সুযোগ।
মিজোরাম
মায়ানমার ও বাংলাদেশের সঙ্গে একই সীমানা ভাগ করে রয়েছে মিজোরাম। এখানেও বেশ কয়েকটি আদিবাসী উপজাতির বাসস্থান রয়েছে।এই সুন্দর গন্তব্য পরিদর্শনের জন্য আভ্যন্তরীন পারমিট থাকা বাধ্য়তামূলক। শিলচর, কলকাতা, গুয়াহাটি, শিলং ও নয়া দিল্লি ও মিজোরাম সরকার থেকে অনুমতি পেতে পারেন। আইজল বিমানবন্দর পৌঁছানোর পর নিরাপত্তা আধিকারিকের কাছ থেকে বিশেষ পাস পেতে পারেন।
প্রসঙ্গত ২ ধরনের ILP পাওয়া যায়, একটি অস্থায়ী, যা ১৫ দিনের জন্য বৈধ থাকে, অন্যদিকে নিয়মিত, যার মেয়াদ ৬ মাস।
লাক্ষাদ্বীপ
সমস্ত ভ্রমণকারীদের কাছেই ড্রিম ডেস্টিনেশন হল এই অসাধারণ লাক্ষাদ্বীপ। বিদেশিদের তো বটেই, সব ভারতীয় ভ্রমণকারীদের জন্য প্রয়োজন পারমিট। কারণ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি পর্যটকদের সংখ্যার উপর নজর রাখে। পারমিট পাওয়ার জন্য আপনার সনস্ত নথি-সহ আপনার এলাকার থানার ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। পারমিট পাওয়ার পর আপনাকে লাক্ষাদ্বীপের স্টেশন হাউস অফিসারদের কাছে জমা দিতে হবে। তবে এত ঝামেলায় না গিয়ে অনলাইনেও পারমিট পেতে পারেন।
আরও পড়ুন: পুজোর ছুটিতে বেড়ানোর প্ল্যান! রইল দেশের সেরা ‘কোস্টাল টাউনে’র হদিশ…