Bengal School: এই ক্লাসে উঠলেই আর টিকিটিরও দেখা মিলছে না পড়ুয়াদের, স্কুলছুটের হারও মারাত্মক! অদ্ভুত রহস্য বাংলার স্কুলে

Mid Day Meal: সরকারি নিয়মে অষ্টম শ্রেণির পর দেওয়া হয় না মিড ডে মিল। দরিদ্র এলাকায় মিড ডে মিল না মেলায় অষ্টম শ্রেণির পর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্কুলছুটের সংখ্যা। হতাশ শিক্ষকরা। বদল কবে? জেলাজোড়া দারিদ্রের নাগপাশের মধ্যেও উত্তর খুঁজছেন সকলেই।

Bengal School: এই ক্লাসে উঠলেই আর টিকিটিরও দেখা মিলছে না পড়ুয়াদের, স্কুলছুটের হারও মারাত্মক! অদ্ভুত রহস্য বাংলার স্কুলে
চিন্তায় শিক্ষকেরা Image Credit source: TV 9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 11, 2025 | 9:45 AM

পুনিশোল: রেশনের বিনা পয়সার চাল মেলে, স্কুলে পড়লে মেলে ঐক্যশ্রী, কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা। কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে বাঁকুড়ার পুনিশোল ও লাগোয়া এলাকার স্কুলগুলিতে অষ্টম শ্রেণির পর স্কুলছুটের হার ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। কেন এমনটা? স্কুলের শিক্ষকদের একাংশের দাবি, এর পিছনে রয়েছে অষ্টম শ্রেণির পর মিড ডে মিল না পাওয়ার নিয়ম। 

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী স্কুলগুলিতে অষ্টম শ্রেণির পর আর মিড ডে মিল মেলে না। দারিদ্র পীড়িত পুনিশোল গ্রামে অনেকেই বাড়িতে না খেয়ে স্কুলে আসে। স্কুলের মিড ডে মিল তাদের জোগান দেয় দুপুরের খাবারের চাহিদা। কিন্তু অষ্টম শ্রেণির পরে আচমকাই সেই সুবিধা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই খালি পেটে স্কুল করতে বাধ্য হয়। ফলে ইচ্ছে থাকলেও বেশিদিন খালি পেটে লেখাপড়া করা সম্ভব হয় না তাদের। ফলে অন্যান্য কারনের পাশাপাশি অষ্টম শ্রেণির পর মিড ডে মিল না মেলার কারণেও হু হু করে বাড়ছে স্কুলছুটের সংখ্যা। 

এ বিষয়ে খানিকটা আক্ষেপের সুর শোনা গেল পুনিশোল উপরডাঙ্গা হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুমন চট্টোপাধ্যায়ের গলায়। ক্লাস এইটের আচমকা মিড ডে মিল বন্ধ হওয়ায় যে স্কুলের প্রতি গরিব বাড়ির ছেলেমেয়ারা আগ্রহ হারাচ্ছে তা মানছেন তিনি। কিন্তু, অবস্থার বদল তো সম্ভব নয় এই মুহূর্তে! অগত্যা, স্কুল ধীরে ধীরে ফাঁকা হচ্ছে দেখেও একবুক আক্ষেপ নিয়ে আসছেন স্কুলে। আক্ষেপ করছে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকেরাও।