অগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে ওড়িশায় হিরাকুঁদ ড্যামে ক্রুজ ভ্রমণের পরিষেবা। পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য এই অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। মাইথন ড্যামের মতোই হিরাকুঁদ রিজার্ভারটিকেও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে সরকার। এই জলাশয়টি দেবরিগড় বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের কাছাকাছি অবস্থিত। ফলে দুটি একসঙ্গে ঘুরে দেখার জন্য রোমাঞ্চকর নতুন অভিজ্ঞতা তৈরি করবেন পর্যটকরা। স্থানীয়দের নিয়ে ওই এলাকায় তৈরি করা হয়েছে ইকো-ট্যুরিজমের ব্যবস্থাও।
বনদপ্তরের মতে, হিরাকুঁদ ক্রুজ পরিষেবা একটি ভ্রমণের প্যাকেজ হিসেবে ধরা হবে। এই অসাধারণ প্যাকেজে থাকবে জঙ্গলের অন্দরে বিভিন্ন প্রকারের পাখিদের সঙ্গে আলাপ, বন্যজীবন ও প্রাণি দেখার অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এই দর্শনীয় স্থান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দেবরিগড় বনপ্রাণ অভয়ারণ্যটি দেশের অন্যতম দর্শনীয় ও দুরন্ত অভিজ্ঞতার জন্য পরিচিতি রয়েছে। বনের সব প্রাণিরাই দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে নদীতে জল পান করতে আসে। আর সেই বিরল মুহূর্ত নিজের চোখে দেখার অভিজ্ঞতাই আলাদা।
হীরাকুঁদ বিবাগের জঙ্গলের আধিকারিক আংশু প্রজ্ঞান দাস জানিয়েছেন, প্রতিটি ব্যাচে মোট আটজন করে পর্যটক থাকবেন। তাঁরা হীরাকুঁদ ক্রুজে করে একঘন্টা জঙ্গল ও রিজার্ভারে ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন। এই বিশাল কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে স্থানীয়রা। এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য স্থানীয়দের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা পর্যটকদের সমস্ত সুষ্ঠুভাবে পরিষেবা দিতে পারবেন। ইকো-ট্যুরিজম স্পটগুলির পরিচালনা করেন স্থানীয়রাই। এছাড়া এলাকাবাসীরাই বন সংরক্ষণের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ফলে এই আকর্ষণীয় প্য়াকেজের সব পরিষেবা দিতে তাঁরা বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন: ৮০০ বছরের পুরনো রামাপ্পা মন্দিরকে হেরিটেজ ঘোষণা করল ইউনেস্কো! কিন্তু রামাপ্পা আসলে কে?