৮০০ বছরের পুরনো রামাপ্পা মন্দিরকে হেরিটেজ ঘোষণা করল ইউনেস্কো! কিন্তু রামাপ্পা আসলে কে?

জানা গিয়েছে মন্দিরের নীচের অংশ লাল বেলেপাথর দিয়ে তৈরি হলেও ভিত তৈরি করা হয়েছিল ‘স্যান্ডবক্স টেকনিক’ দ্বারা।

৮০০ বছরের পুরনো রামাপ্পা মন্দিরকে হেরিটেজ ঘোষণা করল ইউনেস্কো! কিন্তু রামাপ্পা আসলে কে?
৮০০ বছরের পুরনো রামাপ্পা মন্দির
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 28, 2021 | 1:07 PM

তেলেঙ্গানার রামাপ্পা মন্দিরের নাম নিশ্চয় শুনেছেন? মন্দিরটি রুদ্রেশ্বর মন্দির নামেও পরিচিত। সম্প্রতি ইউনেস্কোর তরফে মন্দিরটিকে ‘ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ বা বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তেরেশো শতকে নির্মিত এই মন্দিরকে হেরিটেজ তালিকাভুক্ত করার জন্য ভারত সরকারের তরফেই আবেদন করা হয়েছিল। ১৭টি দেশ এই মন্দিরকে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য সমর্থন জানায়।

রামাপ্পা মন্দির নিয়ে কিছু তথ্য

মন্দিরে সামগ্রিক ভাস্কর্য এবং মন্দিরগাত্রের সূক্ষ্ম খোদাই করা শৈল্পিক কর্মের জন্য রামাপ্পা মন্দির সততই পৃথক গুরুত্বের দাবি রাখে। সুপ্রাচীনকালে বিশালাকায় নির্মাণের ক্ষেত্রে কোন ধরনের উপাদান ব্যবহার করা হতো তার সম্পর্কেও ধারণাও মেলে এই মন্দির থেকে। জানা গিয়েছে মন্দিরের নীচের অংশ লাল বেলেপাথর দিয়ে তৈরি হলেও ভিত তৈরি করা হয়েছিল ‘স্যান্ডবক্স টেকনিক’ দ্বারা। মন্দিরের থামগুলি তৈরি হয়েছিল ব্যাসল্ট শিলায়। এমনকী মন্দিরে এমন কিছু পাথর ব্যবহার করা হয়েছিল যা ওজনে এতটাই হালকা যে জলেও ভাসতে পারে! মন্দিরে গায়ে খোদিত নকশা ও মূর্তি কাকতীয় শৈল্পশৈলীর নিদর্শন বহন করে।

মন্দিরটি মুখ্য স্থপতি ‘রামাপ্পা’র নামে পরিচিত হয়। সারা দেশে একমাত্র এই মন্দিরটিই একজন ভাস্করের নামে প্রসিদ্ধ হয়। শোনা যায় সমগ্র মন্দিরটি নির্মাণে ৪০ বছর সময় লেগেছিল।

অবস্থান

হায়দ্রাবাদের ২০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে রয়েছে ছোট্ট গ্রাম পালমপেট। সেখানেই রয়েছে মন্দিরটি। এই মন্দির আসলে একটি শিবালয় যেখানে ভগবান রামালিঙ্গেশ্বর পূজিত হন। কাকতীয় রাজবংশের শাসনকালে ইতালীয় পর্যটক মার্কো পোলো এসেছিলেন। সেইসময় রামাপ্পা মন্দির দর্শন করে তিনি এতটাই অভিভূত হয়েছিলেন যে রামাপ্পা মন্দিরকে মন্দিরের নক্ষত্রপুঞ্জে সবচাইতে বৃহৎ নক্ষত্র বলে অভিহিত করেন।

কীভাবে পৌঁছবেন?

ওয়ারাঙ্গল শহর থেকে সরাসরি রামাপ্পা মন্দিরে যাওয়ার কোনও বাস নেই। তবে মুলুগে নেমে পালমপেট যাওয়ার বাস ধরা যায়। মন্দিরে ঢোকার মূল গেটে নামার পর অটোরিকশা ধরতে হবে। কারণ গেট থেকে মূল মন্দিরের দূরত্ব ২ কিমি।

আরও পড়ুন: কাঠপুতলি-ডোকরা কোন কোন রাজ্য়ের জনপ্রিয় হস্তশিল্প! জানেন?