West Bengal Terrorism: সন্ত্রাসের ‘স্বর্গ’ রাজ্য! কেন এ রাজ্যে ঘাঁটি গাড়ে জঙ্গিরা?

Bengal Terrorism: রাজ্যে এক দফা ভোট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ভোটের আগে থেকেই ভোটের প্রচারে বারবার উঠে এসেছে NIA ইস্যু। জঙ্গিরা জালে জড়াতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু হল কার কৃতিত্ব? কেন্দ্রের না রাজ্যের! আক্রমণে কেউ পিছপা নয়। কোন দিকে গড়াল রাজনীতিকে ঘিরে জল? 

West Bengal Terrorism: সন্ত্রাসের ‘স্বর্গ’ রাজ্য! কেন এ রাজ্যে ঘাঁটি গাড়ে জঙ্গিরা?
| Edited By: | Updated on: Apr 21, 2024 | 8:38 PM

২০০৬ সাল। মুম্বইয়ে লোকাল ট্রেনে অফিস যাত্রীদের ভিড়। লোকাল ট্রেনে ফার্স্ট ক্লাস কম্পারমেন্টে সারাদিন অফিস সেরে কিছু ক্লান্ত মুখের ভিড়। হঠাৎ একটা বিকট শব্দ। RDX ব্লাস্ট। থমকে গেল জীবন। সহযাত্রীরা যে RDX নিয়ে ট্রেনে উঠবে কে ভেবেছিল? কে ভেবেছিল ২০০৮ সালে মুম্বাইতে ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাস হয়ে উঠবে মৃত্যুপুরী। কেউ কি কোনওদিন স্বপ্নেও কল্পনা করেছিল পুনেতে জার্মান বেকারিতে কফি কাপের চুমুকটা সন্ধে ৭ টা ১৫ মিনিটে শেষ চুমুক হবে! একই ছবি দেখেছে এই বছর বেঙ্গালুরু। আর সেই কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডরা মনের খুশিতে ঘুরে বেরিয়েছে এই শহর কলকাতায়। হয়তো আপনার পাশে বসে বাসে করে গেছে। হয়তো লোকাল ট্রেনে ট্রাভেল করেছে আপনার সঙ্গে! হয়তো আপনার বাড়ির পাশের দোকানটা থেকে ওষুধও কিনেছে! এই জঙ্গি দৌরাত্বে আদতে সেফ তো আমরা? আমি, আপনি, আমরা সবাই? অনেক প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে রাজ্যে NIA-এর অপারেশন। প্রশ্ন উঠছে, বাংলা কি বরাবর জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চল? দেখাব আজকের নিউজ সিরিজে। আজকের নিউজ সিরিজ সন্ত্রাসের ‘স্বর্গ’ রাজ্য।

বেঙ্গালুরু থেকে দিঘা

১ মার্চ ২০২৪। বেঙ্গালুরু। রামেশ্বরম ক্যাফে। লাঞ্চ টাইমে ভিড়। একটা ব্যাগ রেস্তোরাঁর কোনায় রাখা। কার ব্যাগ? কে এসে রেখে গেছে। এই প্রশ্নগুলো সেই সময় আসেনি কারও মনে হয়তো! হঠাৎ বিস্ফোরণ। ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস ব্লাস্ট। বদলে গেল রামেশ্বরম ক্যাফের নকশা। না, সেদিন ওই বিস্ফোরণে কারও কোনও প্রাণ কেড়ে নেয়নি। কিন্তু দশজন গুরুতর ভাবে আহত হলেন। ফিরে এলেন মৃত্যুর মুখ থেকে। ৩ মার্চ ২০২৪। তদন্তে নামলো এনআইএ। ২৭ দিন পর মিলল প্রথম লিঙ্ক। বাংলায় ঘাঁটি গেড়ে বসেছিল জঙ্গিরা। দিনের পর দিন ধরে এই শহর কলকাতায় পথে ঘটে ঘুরে বেরিয়েছে এই ব্লাস্টের সঙ্গে যুক্ত দুই জঙ্গি। কোথায় ছিল তারা? কিভাবে দিকে দিকে ঘুরে বেরিয়েছে দিনের পর দিন? TV9 বাংলার অন্তর্তদন্ত।

রাজনীতির চাপানউতোর

রাজ্যে এক দফা ভোট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ভোটের আগে থেকেই ভোটের প্রচারে বারবার উঠে এসেছে NIA ইস্যু। জঙ্গিরা জালে জড়াতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু হল কার কৃতিত্ব? কেন্দ্রের না রাজ্যের! আক্রমণে কেউ পিছপা নয়। কোন দিকে গড়াল রাজনীতিকে ঘিরে জল?

জঙ্গি-পছন্দের পশ্চিমবঙ্গ!

জঙ্গিরা খোলা ঘুরে বেড়চ্ছে শহরে। আমি আপনি কতটা সুরক্ষিত? আপনার পাশের ফ্ল্যাটে যিনি থাকছেন তাঁর পরিচয় জানেন তো আপনি? আপনার সঙ্গে বসে ট্রামে যিনি রোজ যাতায়াত করছেন তাঁরা কোনও ব্যাগ ফেলে রেখে যাচ্ছেন না তো? কোমরে যত্ন করে রাখা নেই তো কোনও আগ্নেয়াস্ত্র? যার টার্গেট যে কোনও মুহূর্তে হতে পারেন আপনি? বেঙ্গালুরু ব্লাস্টের পর জঙ্গিদের রাজ্য জুড়ে দৌরাত্ম অনেক প্রশ্ন তুলেছে। বাংলায় কবে থেকে মাথা ছাড়া দিচ্ছে জঙ্গিদের গোপন আস্তানা?

সন্ত্রাসের আঁতুরঘর

বাংলা শুধু জঙ্গি নয় কুখ্যাত দুষ্কৃতিতদেরও মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছে দিনপর পর দিন ধরে। যার হাতে গরম প্রমান আমরা পেয়েছি কয়েক বছর আগে। পাঞ্জাব পুলিশের এক অফিসারকে খুন করে নাহলে এ রাজ্যেই কেন পাড়ি দিল পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল আর রাজস্থানের ত্রাস। ভোট এলে তো আমরা দেখিই বোমা বাঁধা থেকে অস্ত্র কারখানা বাংলার দিকে দিকে। ভূপতিনগরকে নিয়েও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দিকে দিকে বোমা-বন্দুক। সেই ভাবমূর্তিই কী হাওয়া দেয় দুষ্কৃতীদের?

Follow Us: