Mamata Banerjee on Durga Puja 2024: রাজ্যের ভাঁড়ার শূন্য, তবুও ঢালাও অনুদান! উৎসবে হাত খোলা, চাকরিতে কবে?

Mamata Banerjee on Durga Puja 2024: রাজ্যের ভাঁড়ার শূন্য, তবুও ঢালাও অনুদান! উৎসবে হাত খোলা, চাকরিতে কবে?

সুপ্রিয় ঘোষ

|

Updated on: Jul 24, 2024 | 10:00 PM

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এবারের পুজোতে রাজ্য সরকার পুজো কমিটিগুলোকে ৮৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেবে। আর তারপরই আসরে নেমে পড়েছেন বিরোধীরা। কেন? স্কুলগুলোতে শিক্ষক নেই। নিয়োগ নেই। রাস্তায় বসে চাকরিপ্রার্থীরা। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাচ্ছেন না রাজ্য সরকারের কমর্চারীরাও। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন রাজ্যের কাছে টাকা নেই। তাহলে এই অনুদান কেন?

বাকি আর মাত্র ৭৬ দিন, শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর কাউন্টডাউন। প্রশাসনিক স্তরেও তৎপরতা নজরে আসছে। আর এরই মধ্যে গতকাল পুজো কমিটিগুলোকে নিয়ে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠক থেকেই ঘোষণা করলেন এই বছরেও ক্লাবগুলোকে অনুদান দেবে রাজ্য সরকার।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এবারের পুজোতে রাজ্য সরকার পুজো কমিটিগুলোকে ৮৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেবে। আর তারপরই আসরে নেমে পড়েছেন বিরোধীরা। কেন? স্কুলগুলোতে শিক্ষক নেই। নিয়োগ নেই। রাস্তায় বসে চাকরিপ্রার্থীরা। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাচ্ছেন না রাজ্য সরকারের কমর্চারীরাও। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন রাজ্যের কাছে টাকা নেই। তাহলে এই অনুদান কেন? যা আবার বছর বছর বেড়েই চলেছে।

অনুদান বাবদ রাজ্যের কত খরচ? এই খরচে কত চাকরি সম্ভব?

মা কৈলাস থেকে মর্ত্যে আসার আগেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ? আগের বছরের তুলনায় এই বছরে অনুদান বেড়েছে ১৫ হাজার টাকা। যা আগের বছরে ছিল ৭০ হাজার, এই বছরে বেড়ে তা হয়েছে ৮৫ হাজার টাকা। আবার আগামী বছরে তা আরও ১৫ হাজার বাড়ানোর আশ্বাসও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এর আগে বহুবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী বারবার মেনে নিয়েছেন রাজ্যের ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’ অবস্থা। ভরা মঞ্চে আগেই বেশ কয়েকবার তিনি জানিয়েছিলেন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য টাকা চাইলেই মিলবে না। তবে ভাঁড়ারে যতই টানাটানি হোক না কেন, বাংলায় মেলা, খেলা আর অনুদান বেড়েই চলেছে।

ক্লাবগুলিকে পুজোর জন্য বিরাট অনুদান দিয়েই থামেননি মুখ্যমন্ত্রী! পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুতের মাসুলেও ৭৫ শতাংশ ছাড় দিতে সিইএসসি ও রাজ্য বিদ্যুত্‍ বণ্টন পর্ষদকে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যেটাও গত বছরের থেকে খানিকটা বেশি। টানাটানির সংসারে কেন ক্লাবগুলিকে বিপুল অনুদান এবং তা কেন প্রতি বছর বেড়ে যাচ্ছে তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা?

৪৩ হাজার রেজিস্টার্ড ক্লাব পিছু এবার অনুদান ৮৫ হাজার টাকা। এর জন্য রাজ্যের কোষাগার থেকে বেরিয়ে যাবে ৩৬৫ কোটি টাকা। গত বছর ক্লাবগুলিকে পুজোর অনুদানের জন্য খরচ হয় ২৮০ কোটি টাকা। সেখানে এক বছরেই পুজোয় অনুদান দিতে রাজ্যের খরচ বেড়ে গেল ৮৫ কোটি টাকা!

আয় নেই, অথচ মেলা-খেলা-উত্সব-খয়রাতি বিলাসিতা কি না সেই প্রশ্ন উঠছেই। পুজোর অনুদানে এবার গলে যাবে প্রায় ৩৬৫ টাকা। অথচ এই রাজ্যেই নিয়োগ নেই। হলেও, দুর্নীতির গন্ধ এবং অস্থায়ী। ভাবুন এই বিপুল অর্থে কত কিছু সম্ভব হত?

সদ্য নিযুক্ত একজন স্কুল শিক্ষকের মাসিক বেতন প্রায় ৪৫,০০০ টাকা। একজন শিক্ষকের বছরে বেতন দিতে খরচ ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। হিসেব বলছে পুজোর অনুদানের ৩৬৫ কোটি টাকায় প্রায় সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষকের এক বছরের বেতন হয়ে যেত। তবে সমালোচনা যাই হোক, পুজো উদ্যোক্তরা কিন্তু বরাদ্দ বৃদ্ধি নিয়ে বেজায় খুশি।

মুখ্যমন্ত্রী বারবার স্বীকার করছেন টানাটানির সংসার, কৃচ্ছ্রসাধনের কথা বলছেন মুখ্যসচিব। তারপরও কোন যুক্তিতে বছর বছর অনুদান বেড়ে চলে তার কোনও যুক্তি পাচ্ছেন না বিরোধীরা। তাদের প্রশ্ন, এভাবে ক্লাবকে কিনে কি ভোটের সময় কাজে লাগানোর ছক? বিপুল টাকা কেন উন্নয়ন বা নিয়োগে ব্যবহার হচ্ছে না?

Published on: Jul 24, 2024 09:01 PM