Sukanta Majumdar: আমি আর শুভেন্দু অস্ত্র রেখেছিলাম, কুণাল লুকিয়ে দেখেছিল: সুকান্ত
Sukanta Majumdar: ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের ডেরায় তল্লাশিতে গিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। কিন্তু, পড়তে হয়েছিল জনরোষের মুখে। পিছু হটতে হয়েছিল আধাসেনাকে। আক্রমণের মুখে পড়ে খালি হাতে ফেরে ইডি। তারপর থেকেই খবরে সন্দেশখালি।
কলকাতা: ভোটের মধ্যেই ফের চর্চায় সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। শুক্রবার সকালেই শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ। বোমা উদ্ধারে মাঠে নামে এনএসজি। যা নিয়ে লোকসভা ভোটের মধ্যেই দিনভর চাপানউতর চলল বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়। সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। বলেন, “নাটকীয়তা তৈরি করার জন্য, ভোটকে প্রভাবিত করার জন্য এনএসজি নামানো হচ্ছে। সন্দেশখালি ইস্যুকে অক্সিজেন দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। অস্ত্র কারা রেখে গেল সেটা দেখতে হবে। নাটকীয়তা কারা করতে চায় সেদিকেও নজর দিতে হবে। পুলিশের ইন্টালিজেন্স কী করছিল সেটাও আলোচনার মধ্যে থাকবে।”
পাল্টা খোঁচা দিতে ছাড়েনি পদ্ম শিবির। বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমি আর শুভেন্দু অধিকারী পিঠে বোঝা নিয়ে গিয়েছিলাম। দিলীপ ঘোষ গর্ত খুঁড়ে রেখেছিল আগে থেকে। রাহুল সিনহা টর্চ ধরেছিল। আর সুকান্ত-শুভেন্দু একটা একটা করে অস্ত্র রেখেছিলাম ওখানে। আর পাশ থেকে লুকিয়ে দেখেছিল কুণাল ঘোষ।”
চুপ থাকেনি বামেরাও। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মান-সম্মান থাকবে না। রাজ্যটাকে বারুদের স্তূপের উপর দাঁড় করিয়েছে। লুঠের টাকা কোটি কোটি। শুধু সন্দেশখালি নয়, আরও অনেক জায়গাতে এই অবস্থা করেছে। সন্দেশখালিতে ধরা পড়ে গিয়েছে।” প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের ডেরায় তল্লাশিতে গিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। কিন্তু, পড়তে হয়েছিল জনরোষের মুখে। পিছু হটতে হয়েছিল আধাসেনাকে। আক্রমণের মুখে পড়ে খালি হাতে ফেরে ইডি। তারপর টানা ৫৫ দিন খোঁজ মেলেনি শাহজাহানের। সেই সময় থেকেই লাগাতার খবর থেকেছে সন্দেশখালি। এবার ভোটের মধ্যে বিস্ফোরক উদ্ধারের খবরে শুরু হয়েছে নতুন চর্চা।