Fatty Liver: নুন-চিনি, ময়দাও ফ্যাটি লিভারের জন্য দায়ী, রোজের জীবন থেকে আর কোন খাবার বাদ দেবেন?

Liver Health: সম্প্রতি এমসের একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, প্রায় ৩৮ শতাংশ ভারতীয় নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন। নেপথ্যে রয়েছে অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া। হাতের মুঠোয় ফুড অ্যাপ থাকায়, যখন-তখন অর্ডার করা যাচ্ছে পছন্দ মতো খাবার। অত্যধিক পরিমাণে ফাস্ট ফুড খাওয়ার জন্যই নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

Fatty Liver: নুন-চিনি, ময়দাও ফ্যাটি লিভারের জন্য দায়ী, রোজের জীবন থেকে আর কোন খাবার বাদ দেবেন?
Follow Us:
| Updated on: May 07, 2024 | 2:10 PM

সম্প্রতি এমসের একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, প্রায় ৩৮ শতাংশ ভারতীয় নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন। নেপথ্যে রয়েছে অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া। হাতের মুঠোয় ফুড অ্যাপ থাকায়, যখন-তখন অর্ডার করা যাচ্ছে পছন্দ মতো খাবার। অত্যধিক পরিমাণে ফাস্ট ফুড খাওয়ার জন্যই নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এমনকি অল্প বয়সেই এই রোগ জাঁকিয়ে বসছে শরীরে। ৩০-এর কোঠা পেরোনোর আগেই লিভারে ফ্যাট জমছে। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এড়াতে গেলে ৬ ধরনের খাবার একেবারেই খাওয়া যাবে না।

চিনি: লিভারের সবচেয়ে বড় শত্রু হল চিনি। বিষও বলতে পারে। ফ্যাটি লিভারের পাশাপাশি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে চিনি। এছাড়া কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও রয়েছে। শুধু চায়ে চিনি খাওয়া বন্ধ করলে চলবে না। যে সব খাবার ও পানীয়তে চিনি রয়েছে, সেগুলোও এড়িয়ে চলতে হবে।

ভাজাভুজি: ফ্রিশ ফিঙ্গার থেকে শুরু করে ফ্রায়েড চিকেন, এমনকি লুচি, ফুচকা, কচুরিও ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। যে সব খাবার উচ্চ তাপমাত্রা ও ডুবো তেলে ভাজা হয়, সেগুলোই এড়িয়ে চলুন। এতে লিভারের সমস্যা বাড়ে।

এই খবরটিও পড়ুন

নুন: রান্নায় স্বাদমতো নুন ব্যবহার করতেই হবে। তবে, খেতে বসে পাতে কাঁচা নুন খাওয়ার অভ্যাস মোটেই ভাল নয়। এছাড়া প্রক্রিয়াজাত খাবারেও প্রচুর পরিমাণে নুন থাকে। নোনতা স্ন্যাকসের থেকেও মুখ ফিরিয়ে নিতে হবে। এগুলো উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ডেকে আনে। পাশাপাশি লিভারের ক্ষতি করে।

ময়দা: ময়দার তৈরি কোনও খাবারই খাওয়া চলবে না। পাউরুটি, চাউমিন, পাস্তা, কেক, পেস্ট্রি, পিৎজা, বার্গারের পাশাপাশি ময়দার তৈরি রুটি, লুচি, পরোটাও লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়। এগুলো শরীরে ও লিভারে ফ্যাট জমতে সাহায্য করে। দেহের ওজন বাড়িয়ে তোলে।

রেড মিট: খাসির মাংস খেতে ভালবাসেন? মাঝেমধ্যে বিফ, পর্ক‌ও খান? রেড মিট কখনওই স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত নয়। এগুলো ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। এমনকি প্রক্রিয়াজাত মাংসও এড়িয়ে চলুন। এর বদলে চিকেন খেতে পারেন। চিকেনের ব্রেস্ট পিস খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে ফ্যাটের পরিমাণ কম।

মদ: নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার বলে মদ্যপান করাই যায়, এমন নয় কিন্তু। অত্যধিক মদ্যপানে অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দেয়। তবে, মদ খাওয়ার অভ্যাসের জেরেও নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার দেখা দিতে পারে। মোদ্দা কথা হল, মদ লিভারের মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই এর থেকে দূরে থাকতেই হবে।