AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

World Asthma Day: ইনহেলার সর্বক্ষণের সঙ্গী? ঘরোয়া টোটকায় কমান হাঁপানির কষ্ট

Home Remedies for Asthma: হাঁপানি হল এমন একটি শ্বাসজনিত সমস্যা, যেখানে সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হয়ে ওঠা যায় না। সঙ্গে সবসময় ইনহেলার রাখতে হয়। অনেক সময় এই হাঁপানির জেরে রাতের ঘুম উড়ে যায়। তবে, কিছু ঘরোয়া টোটকায় হাঁপানির সমস্যা থেকে স্বস্তি পেতে পেতে পারেন।

World Asthma Day: ইনহেলার সর্বক্ষণের সঙ্গী? ঘরোয়া টোটকায় কমান হাঁপানির কষ্ট
| Updated on: May 07, 2024 | 9:00 AM
Share

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, বিশ্বজুড়ে প্রায় ২৬২ মিলিয়ন মানুষ অ্যাজমার সমস্যায় ভুগছেন। বিশ্বজুড়ে ৪৫৫০০০ মানুষের মৃত্যুর পিছনে দায়ী হাঁপানি। চারিদিকের দূষণ, মরশুমে বদল, দীর্ঘক্ষণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে থাকার মতো অভ্যাস বাড়িয়ে তুলছে হাঁপানির সমস্যা। তাই বিশ্বজুড়ে হাঁপানি সংক্রান্ত সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। আর সেই কারণে আজ, ৭ মে ‘বিশ্ব হাঁপানি দিবস’ পালিত হচ্ছে।

ধুলোবালি, দূষণের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুসফুস। অক্সিজেন বহনকারী সরু নালি দূষণ ও ধুলোর জেরে কুঁচকে যায়। তখনই শ্বাসনালির পেশি ফুলে ওঠে এবং দেহে অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হয়। যাঁরা অ্যাজমাতে ভোগেন, তাঁরাই একমাত্র বোঝেন, এর কষ্ট। হাঁপানি হল এমন একটি শ্বাসজনিত সমস্যা, যেখানে সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হয়ে ওঠা যায় না। সঙ্গে সবসময় ইনহেলার রাখতে হয়। অনেক সময় এই হাঁপানির জেরে রাতের ঘুম উড়ে যায়। তবে, কিছু ঘরোয়া টোটকায় হাঁপানির সমস্যা থেকে স্বস্তি পেতে পেতে পারেন।

১) হাঁপানি সমস্যা কমাতে পারে ফল। বেদানা ও আপেল শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এসব ফলের মধ্যে ফাইবার, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। ফুসফুসকে ডিটক্সিফাই করতে এবং হাঁপানির সমস্যা কমাতে এই দুই ফল উপকারী।

২) ফুলের রেণু, পোষ্যের রোম, কাঠের গুঁড়ো, রঙের রং, পারফিউমের কড়া গন্ধে হাঁপানির সমস্যা বাড়ে। এমনকি ঘর যদি স্যাঁতস্যাঁতে থাকে, সেখানে থেকেও হতে পারে শ্বাসকষ্ট। এসব জিনিস থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।

৩) হাঁপানির সমস্যা থাকলে মাস্ক ব্যবহার করুন। এটি আপনাকে দূষণ, ধুলোবালি ও অন্যান্য ভাইরাল ইনফেকশনের হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে। ডাস্টিং থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।

৪) হাঁপানির কষ্ট কমাতে পারে কর্পূর। পাহাড়ে বেড়াতে গেলে, বেশি উচ্চতায় অনেকেই শ্বাসকষ্টে ভোগেন। কর্পূরের গন্ধ শুঁকলে শ্বাসকষ্ট করে। অ্যাজমা থাকলে তেলে কর্পূর গরম করে বুকে মালিশ করতে পারেন। আরাম মিলবে।

৫) হলুদ শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। রোজ সকালে কাঁচা হলুদ খেলে হাঁপানির কষ্ট কিছুটা হলেও কমবে। হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন যৌগ, দেহে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে এবং ফুসফুসের প্রদাহ কমায়।

৬) হাঁপানির সমস্যা থাকলে ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। আপনার পাশে দাঁড়িয়েও কেউ সিগারেট খেলে সেখান থেকে সরে আসুন। প্যাসিভ স্মোকিংও ক্ষতিকারক। এছাড়া হাঁপানির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হালকা শরীরচর্চা করুন।