করোনার জেরে প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার ফের খুলল দেশের অন্যতম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র। তথ্য অনুসারে, উত্তরাখণ্ডের রাজাজী টাইগার রিজার্ভ এখন থেকে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এই রিজার্ভের কিছু অংশ ও করবেট টাইগার রিজার্ভ রেঞ্জের কিছু অংশে সারা বছর সাফারির জন্য খোলা থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
জাতীয় উদ্যানের প্রধান বন্যপ্রাণী ওয়ার্ডেন জেএস সুহাগের মতে, এবার থেকে সারা বছর ধরে সত্যনারায়ণ মন্দির থেকে কাসরো পর্যন্ত সাফারির আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা। তিনি আরও জানিয়েছেন, পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে, সাফারিতে নিযুক্ত কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য জিনিস প্রদান করতে এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন। করোনা অতিমারির কারে এই বিখ্যাত ও দুর্গম সংরক্ষণ কেন্দ্রটি আর্থিক দিক থেকে প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই টাইগার রিজার্ভের সঙ্গে জড়িতদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অকপট স্বীকার করেছেন তিনি।
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত জুন মাস থেকেই করবেট টাইগার রিজার্ভের পাঁচটি রেঞ্জ অর্থাত্ বিজরানি, গার্জিয়া, ধারা-ঝিরনা, পাখরন ও ধেলাও- সারা বছর জুড়ে খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতিপ্রেমী ও বন্যপ্রাণী দেখার সুবর্ণ সুযোগ যাঁরা হাতছাড়া করতে চান না, তাঁরা এই পাঁচটি অঞ্চলে এবার সারা বছরের জন্য সাফারির আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। তবে এই অঞ্চলগুলিতে রাত্রিবাসের জন্য এখনও নিষিদ্ধ করা রয়েছে। আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে সেই নির্দেশিকাও তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি ও করোনাকালে উত্তরাখণ্ডের করবেট টাইগার ও রাজাজী টাইগার রিজার্ভ উভয়ের অর্থিক ক্ষতি মেটাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, করোনায় আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন স্থানীয় প্রতিনিধি ও সাফারির অপারেটররা। যাঁরা এই দুই টাইগার রিজার্ভের উপর সারা বছর নির্ভর করে আসছেন, তাঁরাই সম্প্রতি বিজার্ভের প্রধানকে চিঠি লেখেন। দুই রিজার্ভের কিছু অংশ যাতে সারা বছরের জন্য খুলে দেওয়া হয়, তা অনুরোধ জানিয়ে তাঁরা আবেদন করেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুজোয় সোলো ট্রিপের জন্য কোথায় যাবেন? রইল আদর্শ ৪ জায়াগার খোঁজ