পুজোয় সোলো ট্রিপের জন্য কোথায় যাবেন? রইল আদর্শ ৪ জায়াগার খোঁজ
করোনা আতঙ্কে খুব বেশি দূর না গেলেও এই বাংলার মাটিতেই রয়েছে সোলো ট্রিপের আস্বাদ।
বাঙালি ঘুরতে বড্ড ভালোবাসে। কখনও পরিবারের সঙ্গে, কখনও বা বন্ধুদের সঙ্গে এদিক-সেদিক বেরিয়ে পড়া বাঙালির পুরনো প্রেম। তবে একা একা ঘুরে বেড়ানোর মতো স্বাধীন স্বাদ নিতে এই জাতির পুরুষ-মহিলা উভয়ই এখন ঘরের বাইরে পা রাখছেন। করোনা আতঙ্কে খুব বেশি দূর না গেলেও এই বাংলার মাটিতেই রয়েছে সোলো ট্রিপের আস্বাদ।
দীঘা
কলকাতার ভিড় থেকে একটু শান্তি নিজের জন্য সময় কাটাতে দীঘা সোলো ট্রিপের জন্য আদর্শ একটি ডেস্টিনেশন। সমুদ্রের অসাধারণ দৃশ্য ছাড়া আর কিছু দেখার না থাকলেও রয়েছে স্বাধীন ও শান্তির পরিবেশ। সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের মনোরম দৃশ্য আরও আকর্ষণীয়। বাজেটের মধ্যেই রয়েছে প্রচুর হোটেল।
শান্তিনিকেতন
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আচার-আচরণ বদলালেও শান্তিনিকেতনের ধারা কিন্তু এখনও অব্যাহত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্ববিখ্যাত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, কবিগুরুর অজস্র স্মৃতি, ও গ্রাম্য পরিবেশে নিজেকে মেলে ধরতে শান্তিনিকেতনে পা রাখতে পারেন, যে কোনও সময়। শান্তিনিকেতন নিয়ে বাঙালির মনে একপ্রকার দুর্বলতা রয়েছেই।
হেনরি আইল্যান্ড
অফবিট ডেস্টিনেশন হিসেবে এই দ্বীপে একবার ঘুরে আসতে পারেন। কোনও জায়গা আবিষ্কারের নেশা থাকলে হেনরি দ্বীপ দারুণ একটি বিকল্প জায়গা। সুন্দরবনের কাছাকাছি এই দ্বীপে একা একা ছুটি কাটাতে পারেন অনায়াসে। রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার ও ঘন সবুজ জঙ্গল, আর শান্ত সমুদ্রের গর্জন। বিভিন্ন ধরনের পাখি দেখার জন্য আদর্শ একটি জায়গা।
কালিম্পং
হিমালয়ের কোলে একটি ছোট্ট শহর। যেখানে বৌদ্ধ মঠ ও বিখ্যাত নার্সারিগুলির আবাসস্থল। শান্তিতে, অলসতার সঙ্গে সময় কাটাতে, নেপালি বা তিব্বতীয় খাবারের স্বাদ গ্রহণ করার দারুণ অনুভূতি সঞ্চয় করতে পারবেন। এছাড়া পাহাড়ের মনোরম পরিবেশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, মঠ পরিদর্শন ও হিমালয়ের নানা অজানা পশুপাখি দেখার দারুণ সুযোগ রয়েছে। যার টানে আপনি বারে বারে এখানে ফিরে আসতে চাইবেন।
আরও পড়ুন: Monsoon Trip Travelling Tips: বর্ষায় ভ্রমণের সময় এই অতিপ্রয়োজনীয় ৫ টিপস একেবারেই ভুলবেন না যেন…