বহু দিন অফিস থেকে ছুটি নিয়ে ঘুরতে যাননি? মনটা পাহাড় পাহাড় করছে? হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) যাওয়ার প্ল্যান করছেন? তাহলে বসন্তকে (Spring Season) সঙ্গে করে ঘুরে আসুন কাসোল (Kasol) থেকে। পার্বতী নদীর তীরে অবস্থিত হিমাচলের ছোট্ট গ্রাম কাসোল। কুল্লুর নাম নিলেই মনে পড়ে মানালির কথা। কিন্তু মানালি যাওয়ার আগে কুল্লু জেলার পূর্বে মাত্র ৪২ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই কাসোল। তবে এই কাসোল ভ্রমণপিপাসুদের কাছে জনপ্রিয় অন্য নামে। হিমাচল প্রদেশের মিনি ইজ়রায়েলের তকমা পেয়েছে কাসোল। কেন জানেন?
পার্বতী উপত্যকায় অবস্থিত জনপ্রিয় তীর্থকেন্দ্র মনিকরণ। ভুন্তুর থেকে মনিকরণ যাওয়ার পথে পড়ে কাসোল। এক ধারে অবিরাম বয়ে চলেছে পার্বতী নদী আর অন্যদিকে সবুজে মোড়া কাসোল। ভারতের অফবিট ডেস্টিনেশনগুলির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এটি। আর ইজ়রায়েল পর্যটকদের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হল এই কাসোল। এই পাহাড়ি গ্রামে প্রতি বছর এত পরিমাণে ইজ়রায়েল পর্যটক আসে এবং এখানের বসবাসকারী মানুষের মধ্যে ইজ়রায়েলের মানুষের সংখ্যাটা এতটাই বেশি যে কাসোলকে ‘মিনি ইজ়রায়েল’ বলা হয়।
যতদূর জানা যায়, এক দশক আগে ইজ়রায়েলের পর্যটকরা কাসোল ভ্রমণ করা শুরু করে এবং তারপরে তাদের মধ্যে কেউ কেউ এখানে বসতি স্থাপন করে এবং তারপর থেকে এই জায়গাটি ইজ়রায়েল পর্যটকদের প্রিয় ভ্রমণ কেন্দ্র হয়ে ওঠে। অন্যদিকে এই ইজ়রায়েল পর্যটকরা কাসোলের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখে। তাছাড়া কাসোলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, গাছ-গাছালি এবং প্রাণীজগতও ইজ়রায়েলের চেয়ে কম নয়।
পাইন বনে ঘেরা কাসোল অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী ও প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য স্বর্গোদ্যান। শীতে এই গ্রাম ঢাকা পড়ে সাদা বরফের চাদরে। তারপর যখন বরফ ধীরে ধীরে গলতে শুরু করে, বসন্তের আমেজে সেজে ওঠে মিনি ইজ়রায়েল। তখন সারা উপত্যকা ভরে যায় সবুজ কচি ঘাসে। কাসোল বেড়াতে যাওয়ার সেরা সময় মার্চ থেকে মে মাস। এই সময় জলবায়ু মনোরম থাকে। দু’বছর ধরে যে ওয়ার্ক ফ্রম ডেস্টিনেশনের ট্রেন্ড শুরু হয়েছে সেই তালিকাতেও সবার ওপরে রয়েছে কাসোল।
সার পাস, ইয়াংকের পাস, পিন পার্বতী পাস এবং খীরগঙ্গার মত ট্রেকিং রুটগুলোর বেস ক্যাম্প হল এই কাসোল। অন্যদিকে, এখানে রয়েছে পার্বতী নদীতে রিভার রাফটিং, প্যারাগ্লাইডিং-এর মত অ্যাডভেঞ্চার মূলক স্পোর্টসের সুবিধা। তাছাড়া আপনি যদি খাদ্যপ্রেমী হন, তাহলে হিমাচলি খাবারের পাশাপাশি অথেন্টিক ইজ়রায়েলি খাবার খুঁজে পাবেন কাসোলের প্রতিটি ক্যাফে ও রেস্তোরাঁয়। পারফেক্ট হিপ্পি ডেস্টিনেশন হল এই কাসোল।
কাসোল মূল ডেস্টিনেশন। এই কাসোল থেকে আপনি পার্বতী উপত্যকার অন্যান্য গ্রামগুলোও ঘুরে দেখতে পারবেন। গ্রহণ, চালাল, তোশ, রাসোলের মত গ্রামগুলো কাসোল থেকে হাঁটা পথের দূরত্বে অবস্থিত। এই গ্রামগুলোতে আলাদা করে হোটেল নেই। তবুও তোশের মত জায়গায় হোম স্টে পেয়ে যাবেন। তাছাড়া আপনাকে হিমালয়ের কোলে রাত কাটাতে হবে তাঁবুতে। কাসোলের আশে-পাশে অবস্থিত এই গ্রামগুলো যেমন সুন্দর তেমনই শান্ত ও নিরিবিল।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
আরও পড়ুন: হিমাচলি সংস্কৃতি, পুরাণ কাহিনি আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একসঙ্গে মিশেছে হিমালয়ের যে উপত্যকায়…
আরও পড়ুন: ভারতের ‘আমস্টারডম’-এর মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে ছোট্ট ছোট্ট অফবিট স্পট! দেখুন সেই হিমাচলি গ্রামের ছবি
বহু দিন অফিস থেকে ছুটি নিয়ে ঘুরতে যাননি? মনটা পাহাড় পাহাড় করছে? হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) যাওয়ার প্ল্যান করছেন? তাহলে বসন্তকে (Spring Season) সঙ্গে করে ঘুরে আসুন কাসোল (Kasol) থেকে। পার্বতী নদীর তীরে অবস্থিত হিমাচলের ছোট্ট গ্রাম কাসোল। কুল্লুর নাম নিলেই মনে পড়ে মানালির কথা। কিন্তু মানালি যাওয়ার আগে কুল্লু জেলার পূর্বে মাত্র ৪২ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই কাসোল। তবে এই কাসোল ভ্রমণপিপাসুদের কাছে জনপ্রিয় অন্য নামে। হিমাচল প্রদেশের মিনি ইজ়রায়েলের তকমা পেয়েছে কাসোল। কেন জানেন?
পার্বতী উপত্যকায় অবস্থিত জনপ্রিয় তীর্থকেন্দ্র মনিকরণ। ভুন্তুর থেকে মনিকরণ যাওয়ার পথে পড়ে কাসোল। এক ধারে অবিরাম বয়ে চলেছে পার্বতী নদী আর অন্যদিকে সবুজে মোড়া কাসোল। ভারতের অফবিট ডেস্টিনেশনগুলির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এটি। আর ইজ়রায়েল পর্যটকদের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হল এই কাসোল। এই পাহাড়ি গ্রামে প্রতি বছর এত পরিমাণে ইজ়রায়েল পর্যটক আসে এবং এখানের বসবাসকারী মানুষের মধ্যে ইজ়রায়েলের মানুষের সংখ্যাটা এতটাই বেশি যে কাসোলকে ‘মিনি ইজ়রায়েল’ বলা হয়।
যতদূর জানা যায়, এক দশক আগে ইজ়রায়েলের পর্যটকরা কাসোল ভ্রমণ করা শুরু করে এবং তারপরে তাদের মধ্যে কেউ কেউ এখানে বসতি স্থাপন করে এবং তারপর থেকে এই জায়গাটি ইজ়রায়েল পর্যটকদের প্রিয় ভ্রমণ কেন্দ্র হয়ে ওঠে। অন্যদিকে এই ইজ়রায়েল পর্যটকরা কাসোলের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখে। তাছাড়া কাসোলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, গাছ-গাছালি এবং প্রাণীজগতও ইজ়রায়েলের চেয়ে কম নয়।
পাইন বনে ঘেরা কাসোল অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী ও প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য স্বর্গোদ্যান। শীতে এই গ্রাম ঢাকা পড়ে সাদা বরফের চাদরে। তারপর যখন বরফ ধীরে ধীরে গলতে শুরু করে, বসন্তের আমেজে সেজে ওঠে মিনি ইজ়রায়েল। তখন সারা উপত্যকা ভরে যায় সবুজ কচি ঘাসে। কাসোল বেড়াতে যাওয়ার সেরা সময় মার্চ থেকে মে মাস। এই সময় জলবায়ু মনোরম থাকে। দু’বছর ধরে যে ওয়ার্ক ফ্রম ডেস্টিনেশনের ট্রেন্ড শুরু হয়েছে সেই তালিকাতেও সবার ওপরে রয়েছে কাসোল।
সার পাস, ইয়াংকের পাস, পিন পার্বতী পাস এবং খীরগঙ্গার মত ট্রেকিং রুটগুলোর বেস ক্যাম্প হল এই কাসোল। অন্যদিকে, এখানে রয়েছে পার্বতী নদীতে রিভার রাফটিং, প্যারাগ্লাইডিং-এর মত অ্যাডভেঞ্চার মূলক স্পোর্টসের সুবিধা। তাছাড়া আপনি যদি খাদ্যপ্রেমী হন, তাহলে হিমাচলি খাবারের পাশাপাশি অথেন্টিক ইজ়রায়েলি খাবার খুঁজে পাবেন কাসোলের প্রতিটি ক্যাফে ও রেস্তোরাঁয়। পারফেক্ট হিপ্পি ডেস্টিনেশন হল এই কাসোল।
কাসোল মূল ডেস্টিনেশন। এই কাসোল থেকে আপনি পার্বতী উপত্যকার অন্যান্য গ্রামগুলোও ঘুরে দেখতে পারবেন। গ্রহণ, চালাল, তোশ, রাসোলের মত গ্রামগুলো কাসোল থেকে হাঁটা পথের দূরত্বে অবস্থিত। এই গ্রামগুলোতে আলাদা করে হোটেল নেই। তবুও তোশের মত জায়গায় হোম স্টে পেয়ে যাবেন। তাছাড়া আপনাকে হিমালয়ের কোলে রাত কাটাতে হবে তাঁবুতে। কাসোলের আশে-পাশে অবস্থিত এই গ্রামগুলো যেমন সুন্দর তেমনই শান্ত ও নিরিবিল।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
আরও পড়ুন: হিমাচলি সংস্কৃতি, পুরাণ কাহিনি আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একসঙ্গে মিশেছে হিমালয়ের যে উপত্যকায়…
আরও পড়ুন: ভারতের ‘আমস্টারডম’-এর মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে ছোট্ট ছোট্ট অফবিট স্পট! দেখুন সেই হিমাচলি গ্রামের ছবি