Sri Lanka: রাবণের বিশালাকায় শরীর এখনও রয়েছে এই গুপ্তগুহায়! দাবি এ দেশের

Travel Tips: প্রচলিত কাহিনি অনুসারে, রাবণের শেষকৃত্যের জন্য রাবণের প্রাণহীন দেহ বিভীষণের হাতে সঁপে দিয়েছিলেন রাম। বিভীষণ হলেন রাবণের ভাই। তবে এরপর কী হয়েছি তা নিয়ে নানা মত আছে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে নাগকুল রাবণের প্রাণহীন দেহকে মমির মতো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন ও ওই গুহায় সেই দেহ রেখে দেন।

Sri Lanka: রাবণের বিশালাকায় শরীর এখনও রয়েছে এই গুপ্তগুহায়! দাবি এ দেশের
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 26, 2023 | 2:01 PM

সারা দেশেই শুরু হতে চলেছে দশেরা উৎসব। সারা ভারতের প্রতিটি গৃহে গুঞ্জরিত হচ্ছে রামায়ণের সেই পৌরাণিক কাহিনি। একই সঙ্গে জানা যাচ্ছে রামায়ণে বর্ণিত নানা জায়গার পৌরাণিক গুরুত্ব সম্পর্কেও। আশ্বিন মাসের এমন সুমধুর আবহাওয়ায় মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ছেন এবং যাত্রা করছেন সেই সমস্ত জায়গায় যে সকল স্থান রাম-সীতার চরণস্পর্শধন্য বলে বিশ্বাস করা হয়। তবে অনেকেই মনে করেন, রামায়ণে রাম যতখানি প্রাধান্য পেয়েছেন ততখানিই জায়গা পেয়েছেন রাবণ। রামের মতো রাবণের কীর্তিও অত্যন্ত চমকপ্রদ বলে মনে করেন অনেকেই।

নবরাত্রির দশম দিনটিতে পালিত হয় দশেরা উৎসব। এই দিনেই অশুভ শক্তিকে দূরে সরিয়ে শুভশক্তি জয়লাভ করে বলে বিশ্বাস। একইসঙ্গে এই দিনেই রাম এক ভীষণ যুদ্ধে রাবণকে হারিয়েছিলেন বলে মনে করা হয়। এখন প্রশ্ন হল রাবণের মৃত্যুর পরে তাঁর দেহের কী হয়েছিল? প্রচলিত কাহিনি অনুসারে, রাবণের শেষকৃত্যের জন্য রাবণের প্রাণহীন দেহ বিভীষণের হাতে সঁপে দিয়েছিলেন রাম। বিভীষণ হলেন রাবণের ভাই। তবে এরপর কী হয়েছি তা নিয়ে নানা মত আছে। কিছু কাহিনি অনুসারে বিভীষণ সিংহাসন দখলের তাড়ায় রাবণের বিরাট প্রাণহীন শরীরের কোনও ব্যবস্থা না করেই লঙ্কায় চলে যান।

এরপর নাগকুল এসে রাবণের শরীরকে বহন করে নিয়ে যায় একটি গুহায়। সেই গুহার অবস্থান নুয়ারা এলিয়ায় যা আসলে শ্রীলঙ্কার পার্বত্য প্রদেশের এক গভীর অরণ্য। বর্তমানে শ্রীলঙ্কার এল্লা শহর থেকে এই গুহার দূরত্ব ৭৩ কিলোমিটার। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে নাগকুল রাবণের প্রাণহীন দেহকে মমির মতো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন ও ওই গুহায় সেই দেহ রেখে দেন।

স্থানীয় বিশ্বাস অনুসারে, নাগকুলের বংশধরেরা এখনও ওই গুহাকে রক্ষা করেন। জানা গিয়েছে, যতজন ব্যক্তি ওই গুহায় প্রবেশ করেছেন, তাঁরা দেখেছেন একটি ১৮ ফুট লম্বা ও ৫ ফুট চওড়া কারুকার্যময় বাক্স রাখা রয়েছে ওই গুহায়। এমনকী কয়েকজন এও দাবি করেছেন যে রাবণের শরীরকে একটি বিশেষ প্রলেপ দিয়ে মুড়িয়ে রাখা আছে। এর ফলে কয়েক হাজার বছর পরেও রাবণের শরীরে কোনও বিকৃতি আসেনি। জানা যায়, গুহাটি রয়েছে রাগলা নামে একটি জায়গায়। তবে ইন্টারনেটে এই বিষয়ে সেভাবে কোনও তথ্য নেই।

স্থানীয় প্রচলিত কাহিনি অনুসারে, বিষধর সাপের সঙ্গে হিংস্র জন্তুরা রাবণের শরীরকে পাহারা দেওয়ার কাজে নিয়োজিত। সেখানে পদে পদে রয়েছে মৃত্যুর আশঙ্কা। সম্ভবত এই কারণেই খুব বেশি লোকে ওই গুহার অন্দরে যেতে পারেননি। প্রশ্ন হল এই সকল গল্পের মধ্যে কতগুলি সত্যি ঘটনা? সত্যিই কি এমন জায়গা রয়েছে শ্রীলঙ্কায়? সত্যিই কি রাবণের প্রাণহীন শরীর শায়িত রয়েছে এক কারুকর্যময় বাক্সে?

বহু মানুষ, বিশেষ করে নাগকুলের বংশধরেরা বিশ্বাস করেন রাবণের মৃত্যু আসলে কোনও স্থায়ী ঘটনা নয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে রাবণ একদিন ফের বেঁচে উঠবেন। অবশ্য এইসমস্ত যুক্তির পিছনে কোনও প্রামাণ্য নথি নেই। এমনকী সত্যিই যে ওই গুহায় রাবণের শরীর রয়েছে তারও কোনও স্থির প্রমাণ নেই। তবে গল্প যেমনই হোক তা অত্যন্ত রোমাঞ্চকর ও এই কারণেই জায়গাটি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।

শ্রীলঙ্কার ‘আন্তর্জাতিক রামায়ণ গবেষণা কেন্দ্রে’র তরফে ইতিমধ্যেই বহু গবেষণা চালানো হচ্ছে গুহাটিকে নিয়ে। ফলে হয়তো একদিন সত্যিই জানা সম্ভব হবে ওই গুহায় কী রয়েছে!