করোনা অতিমারির জেরে প্রায় দেড় বছর বাড়ির বাইরে পা রাখেননি মানুষ। ঘরবন্দি বদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তির স্বাদ পেতে এই উত্সবের মরসুমে ছুটির পরিকল্পনা করছেন অনেকেই। দেশের একটি সুন্দর জায়গায় যাওয়ার সন্ধানে রয়েছেন অনেকেই। আবার এই অনেকে বিদেশে যেতেও পছন্দ করেন। তবে পছন্দমতো, কাছেপিঠে কোথাওয় বেড়িয়ে আসতে মন চায় অধিকাংশের। বাঙালি এমনিতেই ভ্রমণপিপাষু। তাই ভ্রমণের কিছু খবর পেলেঅ বাঙালিদের মন ভাল হয়ে যায়।
বর্ষার সময় যতই ভয়ংকর রূপ নিক না কেন, এই পাহাড়ের স্বচ্ছ ও স্নিগ্ধ রূপ আর কখনও দেখা যায় না। বিশেষ করে মহারাষ্ট্রের পশ্চিমঘাট অঞ্চলের মনোরম পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণীয় করে তোলে। বর্ষায় লোনাভালার বৃষ্টিস্নাত পরিবেশ ও আবহাওয়া প্রত্যেক পর্যটকের জন্যই আকর্ষণীয়। তবে পৃথিবীতে এমন অনেক কাণ্ড ঘটে যা চোখে দেখলেও ভাষায় প্রকাশ করা যায়। বিজ্ঞানকে দূরে ঠেলে মহারাষ্ট্রের কালু জলপ্রপাতের জলরাশি নিচের দিকে নয়, বরং মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বিপরীতে গিয়ে এক বিচিত্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বাতাবরণ তৈরি করে। এই রাজ্যের মালশেজ ঘাট অঞ্চলের বিখ্যাত পর্যটনের আকর্ষণও বটে। কালু জলপ্রপাতের জল সব সময় উপররে দিয়ে প্রবাহিত হয়। কারণ এই প্রবল বাতাসের জন্য জলরাশি পাহাড়ের উপর থেকে প্রবাহিত হওয়ার পরই ঘূর্ণির মতো ফের উপরেই প্রবাহিত হয়।
মনোরম ছবি ও ভিডিয়োটি দেখুন….
১২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই জলপ্রপাতটির উত্পত্তি হরিশ্চন্দ্রগড় পর্বতে। এটি খিরেশ্বর গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পুনে থেকে মাত্র ১৩০ কিমি দূরে অবস্থিত এই অপূর্ব সুন্দর ও নৈসর্গিক জলপ্রপাতটি দেখার জন্য আপনাকে সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যেই যেতে হবে। কারণ এই জলপ্রপাতটি খরস্রোতা জলপ্রপাত। গ্রীষ্মকালে নদী শুকিয়ে যাওয়ায় সেই জলপ্রপাতের তেজ থাকে না। তাই বর্ষার সময়ই এই বিচিত্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার সুযোগ পাবেন।
প্রসঙ্গত, পৃথিবীতে আরও কিছু জলপ্রপাত রয়েছে যেখানে প্রবল বাতাসের কারণে জল উপরের দিকে প্রবাহিত হয়, তাদের মধ্যে কয়েকজন ভারতে এবং তাদের মধ্যে কয়েকটি বিদেশে রয়েছে।
আরও পড়ুন: Char Dham Yatra: করোনাবিধি মেনে শুরু হল চারধাম যাত্রা! খুশি পূণ্যার্থীরা