চলতি সপ্তাহেই উত্তরাখণ্ড সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, দৈনিক সংক্রমণের হার কমতে থাকায় ধীরে ধীরে চার ধাম যাত্রা শুরু করা চিন্তাভাবনা শুরু করা হবে। প্রথমে কয়েকটি জেলার বাসিন্দাদের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। সেইমতো ঘোষণাও করে দেয় সরকার। তবে সেই চিন্তাভাবনা প্রয়োগ করার আগেই রাজ্য সরকারকে একহাতে নিল উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট।
এদিন হাইকোর্ট সোজা জানিয়ে দিয়েছে, কোভিড পরিস্থিতিতে চারধাম যাত্রা শুরু করার পরিকল্পনার জন্য উত্তরাখণ্ড সরকারকে প্রথমে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । এ ব্যাপারে আদালত কুম্ভমেলার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে জানিয়েছে, কুম্ভমেলার মতো মর্মান্তিক ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তা আগে থেকে দেখে নেওয়া দরকার সরকারের। রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রকের সম্পাদক দিলীপ জাওয়ালকারের দেওয়া হলফনামায় রাজ্যসরকারের ভূমিকা নিয়ে সন্তুষ্ট নয় আদালত। এদিন আদালত জানিয়েছে, ২২জুন পর্যায়ক্রমে চারধাম যাত্রা শুরু হবে কিনা সে সম্পর্কে কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিত নেই।
আরও পড়ুন: লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি, চারধামের দরজা খোলার চিন্তা রাজ্য সরকারের
প্রসঙ্গত, সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে আগামী ২২ জুন পর্যন্ত চার ধাম যাত্রার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আদালত আরও জানিয়েছে, কুম্ভমেলা থেকে রাজ্যকে শিক্ষা নিতে হবে। সংক্রমণের মাত্রা কমে গেলেও এত দ্রুত চারধামযাত্রা শুরু করার মতো পরিস্থিতি হয়েছে কিনা তা আগে পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। কারণ কোভিড সংক্রমণের দাপটের হাত থেকে এই রাজ্যও বাদ পড়েনি। প্রধান বিচারপতি রাঘবেন্দ্র সিং চৌহান ও বিচারপতি অলোক ভর্মার একটি ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকারকে আগে এসওপি গঠন করে আগামী ২১ জুনের আগেই, হলফনামা জমা দিতে হবে। পরবর্তী শুনানির দিন আদালত ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্য সচিব, স্বাস্থ্য সচিব ও অতিরিক্ত পর্যটন সচিবকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, চার ধাম যাত্রা ধাপে ধাপে শুরু হলে প্রথম ধাপে চামোলি, রুদ্রপ্রয়াগ ও উত্তরকাশী জেলার বাসিন্দাদের যাত্রা করার অনুমতি দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ডের বদরীনাথ চামোলি জেলায়, কেদারনাথ রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় এবং গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী উত্তরকাশী জেলায় অবস্থিত।