AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kainchi Dham: অন্য ধাম যাত্রা! দুঃসময়ে এই মন্দিরেই ছুটে এসেছেন স্টিভ জোবস-জুকেরবার্গ!

Uttarakhand: নৈনিতাল থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৪০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই আধুনিক তীর্থযাত্রী কেন্দ্রটি শ্রী নিম কারোলি বাবা মহারাজজীর প্রতি নিবেদিত প্রাণ।

Kainchi Dham: অন্য ধাম যাত্রা! দুঃসময়ে এই মন্দিরেই ছুটে এসেছেন স্টিভ জোবস-জুকেরবার্গ!
| Edited By: | Updated on: May 19, 2022 | 7:55 AM
Share

এই মরশুমে চার ধাম যাত্রা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। যাত্রায় ২০জন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে উত্তরাখণ্ডে। তবে এই পবিত্র ও বিখ্যাত ধর্মীয় তীর্থযাত্রার কথা তো শুনেছেন, কিন্তু ওই একই রাজ্যে আরও একটি প্রসিদ্ধ ও জনপ্রিয় মন্দির রয়েছে। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) সবুজ কুমায়ুন পর্বতের পাদদেশে উজ্জ্বল হয়ে বিরাজ করছে কাইঞ্চি ধাম (Kainchi Dham)। গ্রীষ্মকালে আবহাওয়া থাকে মনোরম। তাই গ্রীষ্মের ছুটিতে উত্তরাখণ্ডে গেলে এই আদর্শ জায়গাটি মিস করবেন না একেবারেই।

নিম কারোলি বাবা আশ্রম একটি অদ্ভুত ছোট আশ্রম। নৈনিতাল-আলমোরা রাস্তায় অবস্থিত এবং দর্শনার্থীদের মধ্যে কাইঞ্চি ধাম হিসাবে জনপ্রিয় একটি হনুমান মন্দির রয়েছ। নৈনিতাল থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৪০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই আধুনিক তীর্থযাত্রী কেন্দ্রটি শ্রী নিম কারোলি বাবা মহারাজজীর প্রতি নিবেদিত প্রাণ। যিনি ভগবান হনুমানের ভক্ত ছিলেন এবং সারা জীবন অনেক অলৌকিক কাজ করেছেন বলে জানা যায়। ১৯৬৪ সালে নিম করোলি বাবা যখন কাইঞ্চি ধাম স্থাপন করেছিলেন। বলা বাহুল্য, ভগবান হনুমানের কাছ থেকে আশীর্বাদ পেতে এই স্থানে সবসময়ই তীর্থযাত্রীরা এবং পর্যটকরা ভিড় করেন। ভজন, কীর্তনে লিপ্ত হয়ে এই ঐশ্বরিক স্থানের আধ্যাত্মিক পরিবেশে নিমগ্ন হন অনেকে।

মন্দির ছাড়াও, মন্দিরের কাছে একটি গুহাও রয়েছে যেখানে নিম করোলি বাবা পূজা করতেন এবং তার সময় কাটাতেন, অন্যান্য ধর্মীয় কাজ সম্পাদন করতেন। পর্যটকরাও এখানে প্রার্থনা করতে এই গুহায় যেতে পারেন কারণ এর সাথে ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে। পর্যটকরাও এখানে প্রার্থনা করতে এই গুহায় যেতে পারেন কারণ এর সাথে ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে। প্রতি বছর ১৫ জুন আশ্রমে প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয়। এই সময়ে বিপুল সংখ্যক ভক্তের সমাগম হয়।

নিম করোলি বাবা কোন সাধারণ মানুষ নয়, এই সাধুর নাম দিকে দিকে ছড়িয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে মার্ক জুকেরবাগ, এই মানুষটির ভক্ত। নিম করোলি বাবার শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হয়ে অ্য়াপলের সব-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও স্টিভ জোবস, ফেসবুকের চেয়ারম্যান জুকেরবার্গ,হলিউড অভিনেত্রী জুলিয়া রবার্টস প্রমুখ আন্তর্জাতিক ব্য়ক্তিত্বরা এই মন্দির পরিদর্শন করে গিয়েছেন। বলা ভাল, বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বরা এই মন্দির পরিদর্শন করার পরই এই ছোট্ট পবিত্র স্থানটি ধীরে ধীরে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ধর্মীয় গন্তব্যের তালিকায় উঠে এসেছে।

কবে যাবেন

যে কোনও মাসে বা যে কোনও দিনেই এই মন্দিরে যেতে পারেন। যখনই যাবেন, তখনই মন ভাল করা এক মনোরম ও শান্তির পরিবেশ পাবেন। সাধারণত এখানে তাপমাত্রা সারা বছরই অল্প ঠান্ডা ও প্রাণবন্ত থাকে।

বাবা নিম করোলি

মাত্র ১৭ বছর বয়সে বাবা নিম করোলি ঈশ্বরের জ্ঞান লাভ করেছিলেন। উত্তরাখণ্ডের মানুষ বাবাকে হনুমানজির অন্যরূপ বলে মনে করতেন। শুধু তাই নয়, বাবা নিজেও ছিলেন হনুমানজির এক মহান ভক্ত। জীবদ্দশায় প্রায় ১০৮ টি হনুমান মন্দির তৈরি করেছেন তিনি। থিত রয়েছে, একবার আশ্রমে ঘি- এর অভাব হয়েছিল। সেই সময় বাবার নির্দেশ অনুযায়ী নিকটবর্তী নদী থেকে জল আনা হয়েছিল। সেই জল যখন আশ্রমে নিয়ে আসা হয়, তখন দেখা যায় সেই জল সম্পূর্ণরূপে ঘি-তে পরিণত হয়ে গেছে। আবার এমন কথাও শোনা যায়, এক ব্যক্তি প্রচন্ড রোদে বাবাকে দেখতে এসেছিলেন। ভক্তের কষ্ট লাঘব করার জন্য মেঘের ছাতা বানিয়ে বাবা তাকে দিয়েছিলেন।

কোথায় থাকবেন

বর্তমানে উত্তরাখণ্ডের যে কোনও পর্যটনকেন্দ্রেই পাবেন উপযুক্ত বাজেটের হোটেল বা রিসর্ট। এখানেও পেয়ে যাবেন পছন্দ মত হোটেল। বাজেটের পাশাপাশি রয়েছে বিলাসবহুল হোটেল, কটেজ, হোমস্টে, গেস্ট হাউস ও লজও। যেখান থেকে হিমালয়ের মনোরম ও রোমাঞ্চকর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে চোখকে সার্থক করে তুলতে পারবেন।

মন্দিরে প্রবেশর সময়

এই বিখ্য়াত মন্দির ও আশ্রমে প্রবেশের জন্য কোনও রকম প্রবেশমূল্যের প্রয়োজন পড়ে না। এই হনুমান মন্দিরটি সকাল ৫টা থেকে খোলা থাকে পর্যটকদের জন্য। বন্ধ হয় বিকেল ৪টের সময়। উল্লেখ্য, সরকারি ছুটি-সহ সপ্তাহের প্রতিদিন পর্যটক ও ভক্তদের জন্য মন্দিরে দরজা খোলা থাকে।