Carrying Drones In Domestic Flights: এবার ডোমেস্টিক ফ্লাইটে যাত্রীরা সম্ভবত ড্রোন বহন করতে পারবেন

ড্রোনের ব্যবহারকে ঘিরে সরকারের এই ধরনের পদক্ষেপগুলিকে ভারতীয় টুরিস্টরা বিভিন্ন দিক থেকে স্বাগত জানিয়েছে। তাঁরা মনে করছে এই ধরনের পদক্ষেপ বিমান ব্যবস্থার ওপর মানুষের তৈরি হওয়া অসন্তোষ কাটাতে বিশেষ কার্যকর হতে পারে।

Carrying Drones In Domestic Flights: এবার ডোমেস্টিক ফ্লাইটে যাত্রীরা সম্ভবত ড্রোন বহন করতে পারবেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2021 | 7:24 AM

ডোমেস্টিক ফ্লাইটে ন্যানো ড্রোন নিয়ে যেতে পারলে খুব ভাল হতো না? ছোটখাটো ট্রিপগুলোতেও সুন্দর ছবি তোলার সরঞ্জাম নিয়ে ঘোরা যেত। এবার সেই সম্ভাবনার বাস্তবায়ন হতে চলেছে। টুরিস্টরা খুব তাড়াতাড়িই ছবি তোলার জন্য ফ্লাইটে ছোট ড্রোন ক্যামেরা নিয়ে যেতে পারবেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, সরকার ড্রোন ব্যবহারের নিয়ম শিথিল করার পর থেকেই এর ব্যবহারের অনেক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। এখন বিনোদনমূলক উদ্দেশ্যে যেমন ঘরোয়া ফ্লাইটে ড্রোন ক্যামেরা নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ছবি তোলার ক্ষেত্রে টুরিস্টদের অনেক বেশি সুবিধা হতে চলেছে। 

একজন এভিয়েশন কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন যে এখন পর্যন্ত ডোমেস্টিক ফ্লাইটে ড্রোন ব্যবহারের অনুমতি নেই। যদিও, তারা একটি উপায় খুঁজে পেয়েছে যা মানুষকে তাঁদের ছুটি কাটানোর স্বার্থে ড্রোন নিয়ে যেতে পারবে এবং সেগুলি ব্যবহারও করবে। এখন পর্যন্ত কীভাবে এই প্রকল্প চালু করা হবে সেই নিয়ে কোনও স্পষ্ট ধারণা দেওয়া হয়নি। একে কেবিন বা চেক-ইন ব্যাগেজে অনুমোদিত করা হবে কি না সেই বিষয়েও বিস্তারে কিছুই জানানো হয় নি। এর ওপর আবার, আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য, অন্যান্য দেশের নিয়ম মেনে চলতে হবে। যাতে মানুষ ন্যানো ড্রোন (২৫০ গ্রাম ওজন পর্যন্ত) বহন করতে পারে। এটি টুরিস্টদের জন্য খুব ভাল একটা পদক্ষেপ হতে চলেছে। তার কারণ হল, আজকের দিনে ড্রোন ছাড়া ঘুরতে যাওয়ায় একটা খামতি থেকেই যায়।

প্রতিবেদন অনুসারে, গত মাসের শেষের দিকে ড্রোনের ব্যবহারজনিত নিয়মগুলি শিথিল করে একটা নতুন সেট কার্যকর করা হয়েছিল। যদিও, প্লেনে ট্রাভেল করার সময় ড্রোন আদেও নিয়ে যাওয়া যাবে কি না সেটা নিয়ে এখনও অনেক ধরনের আলোচনা করা চলছে। অ-বাণিজ্যিক বা ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ন্যানো এবং মাইক্রো (২৫১ গ্রাম থেকে ২ কেজি ওজনের) ড্রোন ব্যবহারকারী ব্যক্তিদের রিমোট পাইলট লাইসেন্সের প্রয়োজন হয় না। এমনকি, ন্যানো ড্রোনগুলির ক্ষেত্রে কোনও রকমের সার্টিফিকেটেরও প্রয়োজন হয় না।

জানা গেছে, সরকার এখন মানুষহীন এয়ারক্র্যাফট সিস্টেম পরিচালনার জন্য একটি এয়ারস্পেস মানচিত্রের পরিকল্পনা করছে। এতে তিনটি রঙিন অঞ্চল থাকবে। এই মানচিত্রটি মাসের শেষের দিকে ডিজিটাল স্কাই সিঙ্গেল-উইন্ডো ড্রোন প্ল্যাটফর্মে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেখানো হবে কোথায় কোথায় ড্রোন চালানো যায়। ড্রোনের ব্যবহারকে ঘিরে সরকারের এই ধরনের পদক্ষেপগুলিকে ভারতীয় টুরিস্টরা বিভিন্ন দিক থেকে স্বাগত জানিয়েছে। তাঁরা মনে করছে এই ধরনের পদক্ষেপ বিমান ব্যবস্থার ওপর মানুষের তৈরি হওয়া অসন্তোষ কাটাতে বিশেষ কার্যকর হতে পারে। এদিকে সরকারের তরফ থেকে এখনও ড্রোনের ব্যবহার নিয়ে কোনওরকম স্পষ্ট মন্তব্য করা হয়নি। যদিও, খুব তাড়াতাড়িই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: মাশরুমপ্রেমী হলে এই ‘শ্রুমফেস্টে’ একবার অংশ নিতেই হবে!