এক গ্লাস ঢ্যাঁড়শ টনিক, খালি পেটে খেলেই সব রোগ উধাও! কীভাবে তৈরি করবেন?
নামে ঢ্যাঁড়শ হলেও, কাজে কিন্তু তা মোটেই ঢ্যাঁড়শ নয়। বরং এই ঢ্যাঁড়শের গুণ শুনলে হতবাক হবেন। আর তা যদি মিশে যায় জলে, তাহলে তো একেবারে ম্যাজিক টনিক। রইল টনিক তৈরির সহজ রেসিপি।
খালি পেটে জল… হ্যাঁ, মা-ঠাকুমার মুখ থেকে প্রায় সবারই শোনা। যে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে জল খেলেই, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। লিভার, কিডনি, হৃদপিণ্ড থাকে একেবারে ফিটফাট। কিন্তু নতুন যুগের নতুন নিয়ম, শুধু জল নয়। বরং জলে মিশিয়ে নিন ঢ্যাঁড়শ! হ্যাঁ, নামে ঢ্যাঁড়শ হলেও, কাজে কিন্তু তা মোটেই ঢ্যাঁড়শ নয়। বরং এই ঢ্যাঁড়শের গুণ শুনলে হতবাক হবেন। আর তা যদি মিশে যায় জলে, তাহলে তো একেবারে ম্যাজিক টনিক। তা কীভাবে বানাবেন এই ঢ্য়াঁড়শের ম্যাজিক টনিক? তার আগে জেনে নিন ঢ্যাঁড়শের রয়েছে কী কী উপকারিতা।
ঢ্য়াঁড়শে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন K এবং ক্যালসিয়াম। এমনকী, ঢ্যাঁড়শ হল ভিটামিন C , ভিটামিন A এর খাজানা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য ম্যাজিকের মতো কাজ করবে এই ম্যাজিক টনিক। শুধু তাই নয়, যাঁরা ব্লাডসুগারের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরাও নিয়মিত পান করতে পারেন ঢ্যাঁড়শের ম্যাজিক টনিক। এই টনিক হারে ব্যথা কমাতেই সাহায্য করে। বাতের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের জন্য দারুণ ফল দেবে। শুধু তাই নয়, লিভার থাকবে ঠিক, কিডনিকে সুস্থ করবে ঝটপট।
এই খবরটিও পড়ুন
হাজার চেষ্টা করেও, শরীরের মেদ আটকাতে পারছেন না! কোনও চিন্তা নেই। ঢ্যাঁড়শ টনিকে রয়েছে সমাধান। খালি পেটে এটা নিয়মিত খেলে সাতদিনের মাথায় দেখবেন ওজন কমেছে। আর হ্যাঁ, ঢ্যাঁড়শ কিন্তু শুধু ওজনই কমায় না, ত্বক করে ঝকঝকে। ত্বকের শুষ্কতাও করবে দূর।
কীভাবে বানাবেন?
রাতের বেলায় একটি কাচের বোতলে জল ভরে তার মধ্যে ছোট ছোট করে কেটে ঢ্যাঁড়শ ফেলে দিন। সারারাত ভেজানো থাক সেই ঢ্যাঁড়শ। পরের দিন সকালে ছেঁকে নিয়ে এক গ্লাস এই জল খেলেই কেল্লাফতে।