AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ভাইফোঁটায় পাতে পড়ুক সুস্বাদু দুই নিরামিষ পাতুরি, ভাইদের পেট ভরলেও, মন ভরবে না

আমিষ এই দুই পাতুরি ছাড়াও বাঙালির রান্নাঘরে রয়েছে নিরামিষ দুই পাতুরি। যা কিনা স্বাদে কিন্তু চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে পারে আমিষ পাতুরিকে। আর যাঁরা মাছ খেতে একদম ভালবাসেন না, তাঁদের জন্য তো একেবারে পারফেক্ট চয়েস এই দুই নিরামিষ পাতুরি। খুব সহজে ঘরেই তৈরি করতে পারেন এঁচোড় পাতুরি ও মুসুর ডালের পাতুরি।

ভাইফোঁটায় পাতে পড়ুক সুস্বাদু দুই নিরামিষ পাতুরি, ভাইদের পেট ভরলেও, মন ভরবে না
| Updated on: Oct 20, 2025 | 6:36 PM
Share

ভাইফোঁটা মানেই স্পেশাল কিছু। আর এই স্পেশাল কিছুতে যদি পাতুরি হয়ে যায়, তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু পাতুরি মানেই আমরা জানি ভেটকি বা ইলিশ মাছের। কিন্তু আমিষ এই দুই পাতুরি ছাড়াও বাঙালির রান্নাঘরে রয়েছে নিরামিষ দুই পাতুরি। যা কিনা স্বাদে কিন্তু চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে পারে আমিষ পাতুরিকে। আর যাঁরা মাছ খেতে একদম ভালবাসেন না, তাঁদের জন্য তো একেবারে পারফেক্ট চয়েস এই দুই নিরামিষ পাতুরি। খুব সহজে ঘরেই তৈরি করতে পারেন এঁচোড় পাতুরি ও মুসুর ডালের পাতুরি। রইল তারই রেসিপি।

যা যা লাগবে

এঁচোড় ৫০০ গ্রাম, নারকেল বাটা চার থেকে পাঁচ টেবিল চামচ, পোস্ত বাটা দুই থেকে তিন টেবিল চামচ, সরষে বাটা ৩ টেবিল চামচ, কাঁচালঙ্কা বাটা ২ টেবিল চামচ, কাঁচালঙ্কা চেরা ৪ টি, হলুদ গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ, নুন ও চিনি আন্দাজমতো, সরষের তেল ৫ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, কলাপাতা প্রয়োজন মতো।

এভাবে তৈরি করুন

প্রথমে এঁচোড়কে ডুমো ডুমো করে কেটে নুন, তারপর সেই কাটা এঁচোড় হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ হয়ে গেলে, জল ঝরিয়ে এঁচোড়গুলি একেবারে মিহি করে বেটে নিন। এ বার একটি পাত্রে এঁচোড় বাটা, নুন, চিনি, রসুন বাটা, হলুদ, লঙ্কা, পোস্ত বাটা, সরষে বাটা ও সরষের তেল একসঙ্গে মেখে কিছুক্ষণ রেখে দিন। যাতে তেলের ঝাঁঝ ঠিকঠাক ছড়িয়ে পড়ে।

এরপর কলাপাতা চৌকো করে কেটে নিয়ে, গ্যাসে সেঁকে নিন। সেঁকে নেওয়ার পর প্রতি কলাপাতায় মিশ্রণ রেখে তার উপর একটি করে কাঁচা লঙ্কা রেখে ভাল করে কলাপাতা মুড়ে নিন। এরপর সুতো দিয়ে সেটা বেঁধে নিন। এ বার পাতুরি স্টিমে বসান। মিনিট পনেরো পর স্টিম থেকে নামিয়ে নিন। গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন এঁচোড়ের পাতুরি।

 কীভাবে বানাবেন?

যা যা লাগবে

এক কাপ মুসুর ডাল, পাঁচটি কুচনো পেঁয়াজ, একটা গোটা রসুন কুচি, এক টেবিল চামচ রসুন বাটা, দুটি টমেটো কুচনো। স্বাদ অনুযায়ী কাঁচা লঙ্কার কুচি, কুচনো ধনেপাতা, পরিমাণ মতো লবন, হলুদ ও সর্ষের তেল।

এভাবে তৈরি করুন

প্রথমে মুসুর ডালটা আধঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে মিক্সার গ্রাইন্ডারে পেস্ট করে নিন। এরপর পেস্ট করা ডালকে কুচনো পেঁয়াজ, রসুন, লঙ্কা, ধনেপাতা, টমেটো, হলুদ, নুন, তেল ও বাটা রসুন দিয়ে ভাল করে মাখুন। মাখা হয়ে গেলে মিশ্রনটিকে মিনিট দশেক ঢেকে রেখে দিন। এরপর কলাপাতায় ভাল করে তেল মাখিয়ে নিয়ে তার মধ্যে মিশ্রণটি ঢেলে দিন। হাত বা চামচ দিয়ে মিশ্রণটা সমান করে দিন। হালকা আঁচে গ্যাস জ্বালিয়ে ফেলুন। একটি ফ্রাই প্যান ওভেনে বসিয়ে গরম করুন। গরম হলেই বেশ কয়েকটি কলাপাতা পরপর পেতে দিন। এবার ডালের মিশ্রণ সমেত কলাপাতা চাপিয়ে দিনে তার উপরে। এরপর হালকা আঁচেই দশ মিনিট রান্না হতে দিন। তারপরেই মিশ্রণ সমেত কলাপাতাটি উলটে ফের তাওয়ায় বসিয়ে দিন। ফের ঢেকে দিয়ে আরও তিন থেকে চার মিনিট অপেক্ষা করুন। সময় পেরোলেই গ্যাস নিভিয়ে দিন। ঢাকনা সরিয়ে উপকরণ থেকে তুলে রাখা খানিকটা কুচনো ধনেপাতা ছড়িয়ে দিন। ফের কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে রাখুন। তৈরি মুসুর ডাল পাতুরি। গরম গরম ভাতের সঙ্গে কিন্তু দারুণ লাগবে এই পাতুরি।