Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kids: বাচ্চাকে ভোলাতে হাতে তুলে দিচ্ছেন মোবাইল! এর ফল জানেন?

Lifestyle News: আপনিও হয়তো সেই ফাঁকে নিজের কাজ করে নিতে পারছেন। বা শুরুতেই যেমন বলা হল, কিছুতেই খেতে চাইছে না অথচ গ্যাজেট হাতে পেতেই কিছুটা অন্তত খেল। সাময়িক ভাবে মনে হতেই পারে, এ তো সহজ উপায়। কিন্তু এর ফল ভয়ঙ্কর হতে পারে।

Kids: বাচ্চাকে ভোলাতে হাতে তুলে দিচ্ছেন মোবাইল! এর ফল জানেন?
Image Credit source: CANVA
Follow Us:
| Updated on: Feb 11, 2025 | 5:35 PM

বাচ্চা খেতে চাইছে না! হয়তো একটা কার্টুন চালিয়ে দিলেই খেয়ে নেবে। অনেক বাড়িতেই এমন দেখা যায়। শুধু খাবারের সময়ই নয়, বাচ্চাকে ভোলাতে হাতে তুলে দেওয়া হয় মোবাইল। কিংবা টেলিভিশনে বিশেষ কোনও অনুষ্ঠান। ব্যস্ততার ফাঁকে শিশুকে সামলাতে সমস্যা হলে অনেক অভিভাবকই এই পন্থা বেছে নেন। টেলিভিশন কিংবা স্মার্টফোন, ট্যাব জাতীয় গ্যাজেটে ডুবে থাকে বাচ্চা। আপনিও হয়তো সেই ফাঁকে নিজের কাজ করে নিতে পারছেন। বা শুরুতেই যেমন বলা হল, কিছুতেই খেতে চাইছে না অথচ গ্যাজেট হাতে পেতেই কিছুটা অন্তত খেল। সাময়িক ভাবে মনে হতেই পারে, এ তো সহজ উপায়। কিন্তু এর ফল ভয়ঙ্কর হতে পারে।

সারা বিশ্বেই মানুষের মধ্যে স্ক্রিন টাইম ক্রমশ বেড়েই চলেছে। রাস্তায় চলতে-ফিরতে, বাসে-ট্রেনে, গাড়ি, ফ্লাইটে। সময় কাটানোর পন্থা হিসেবে বেছে নেন মোবাইল। সিনেমা, ওয়েব সিরিজ বা কোনও ভিডিয়োতে ডুবে থাকা। যা ক্রমশ আসক্তির পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায়। শিশুদের ক্ষেত্রে তা আরও মারাত্মক প্রভাব ফেলে। ব্যস্ত জীবনের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে, বাচ্চাকে নিজের মতো ব্যস্ত রাখতে এমন শর্টকার্ট হয়তো বেছে নিচ্ছেন। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী ভাবনায় তা খুবই ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াতে পারে।

একটি গবেষণায় ১২-৪৮ মাস বয়সি বাচ্চাদের অভিভাবকদের নিয়ে নানা তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। যেখানে ধরা পড়েছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দৈনিক অন্তত এক ঘণ্টা মোবাইল কিংবা টিভি জাতীয় গ্যাজেটের পর্দায় চোখ রাখছে আপনার শিশু। এমনকি টেলিভিশন চলছে, হয়তো শিশু তা একনাগাড়ে দেখছে না, কিন্তু ব্যাকগ্রাইন্ডের এই সাউন্ডেও ক্ষতি হতে পারে। গবেষণায় ধরা পড়েছে, এর ফলে শিশুদের কথা বলার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। তারা খুব বেশি শব্দ বলতে পারে না। তার কারণ, মোবাইলে ভিডিয়ো দেখা বা টিভি দেখার ক্ষেত্রে শিশু কেবল দেখছেই। সরাসরি কোনও কথাবার্তা হচ্ছে না। এর ফলে তার ভাষাগত দিক থেকে কোনও উন্নতিই হচ্ছে না। নতুন কোনও শব্দ, বাক্য শিখছে না।

এর থেকে মুক্তির উপায়? সমস্যা থাকলে তার সমাধানও বের করা সম্ভব। এর জন্য অবশ্য সমস্যাটা বোঝা বেশি জরুরি। এই কাজটা অভিভাবককেই করতে হবে। সেই শিশুই যদি বড় কারও সঙ্গে মিলে কোনও শিক্ষনীয় ভিডিয়ো দেখে এবং নানা আলোচনা করে, যেথানে কথাবার্তার ব্যাপার থাকে, শিশুটি নতুন নতুন শব্দ শিখতে পারবে। নতুন কিছু শেখার আগ্রহ তৈরি করতে হবে তার মধ্যে। তবে শুধু মোবাইল কিংবা টিভির মাধ্যমেই নয়, শিশুর সঙ্গে নানা গল্পে মেতে থাকতে পারলে তারা নতুন কিছু শেখার সুযোগ বেশি পায়। শিশুমনে নানা প্রশ্ন কিংবা কৌতুহল জাগতে পারে, ধৈর্য সহকারে সেগুলির জবাব দিলে তার মধ্যে ভাষাগত এবং সাধারণ জ্ঞানের দিক থেকে নানা উন্নতিই হবে।

(এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র গবেষণার তথ্য প্রদানের জন্য। এমন সমস্যা থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন)