
সৌন্দর্যের জগতে প্রাকৃতিক উপাদান এই শব্দটা আজকাল খুবই জনপ্রিয়। তবে আমাদের মা-ঠাকুমার আমল থেকেই দুধ আর নারকেল ছিল চুলের এক বিরাট ওষুধ। আধুনিক গবেষণাও বলছে দুধে থাকা প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন বি-১২ চুলকে ভেতর থেকে মজবুত করে, আর নারকেলে থাকা লরিক অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের গোড়া পুষ্টি জোগায় ও ভাঙন আটকায়। এর ফলে মেলে মসৃণ, ঘন আর প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতায় ভরা চুল। এ মাসের শেষেই পুজো। তার আগে ঘন, মজবুত, উজ্জ্বল চুল চাইলে দুধ, নারকেলের টোটকা কাজে লাগাতে পারেন।
এটি প্রোটিন সমৃদ্ধ বলে চুল ভাঙা আটকায় ও রুক্ষ চুল মেরামত করে। দুধে ভিটামিন বি১২ থাকে। যা চুল ঝরে পড়া কমায়। এতে ময়েশ্চারাইজিং এফেক্ট রয়েছে। যার ফলে স্ক্যাল্প শুষ্ক হয় না এবং খুশকিও কম হয়।
নারকেলে থাকা লরিক অ্যাসিড গোড়ায় গিয়ে চুল মজবুত করে। সেই সঙ্গে এর অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ রয়েছে। যা খুশকি ও স্ক্যাল্প ইনফেকশন কমায়। সেইসঙ্গে এটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে চুলে এমনে দেয় কোমলতা ও চকচকে ভাব।
হাফ কাপ দুধ ও হাফ কাপ নারকেল দুধ মিশিয়ে নিন। তা হালকা গরম করে স্ক্যাল্প ও চুলে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে চুল হবে নরম ও উজ্জ্বল।
দুই টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ দুধ মিশিয়ে ম্যাসাজ করুন। সারা রাত রেখে সকালে উঠে চুল ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে চুলের গোড়া মজবুত হবে, চুল কম ঝরবে।
শ্যাম্পুর পর হাফ কাপ কাঁচা দুধ দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। কয়েক মিনিট রেখে জল দিয়ে আবার ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে চুলে আসবে প্রাকৃতিক সিল্কি ভাব।
উপরিল্লিখিত টোটকার যে কোনওটি সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করুন। আর দুধ যদি স্ক্যাল্পে মানিয়ে না নেয়, তবে প্রথমে প্যাচ টেস্ট করুন।