পুজোর ভিড় একদম ভাল লাগে না? অথচ কটা দিন যে বাইরে কোথাও থেকে ঘুরে আসবেন তার জো নেই! ইতিমধ্যেই লোকে লোকারণ্য কাছে পিঠের সব জায়গাই। ওদিকে ট্রেন-প্লেনের টিকিট সব ভরে গিয়েছে। তাই বলে এইবারের পুজোটা বাড়িতেই কাটাবেন ভাবছেন নাকি? বছরে একবারই পুজো আসে, সেটাও বাড়িতে বসে কাটাতে ভাল লাগবে? তার চেয়ে বরং কলকাতার কাছেই নিরিবিলিতে দুটো দিন কাটিয়ে আসুন।
নিরিবিলিতে পুজোর কটা দিন কাটানোর সেই বন্দোবস্ত করে দিচ্ছে আইটিসি। পুজোর আগেই কলকাতার কাছে বানতলায় খুলে গিয়েছে একদম নতুন ‘স্পা স্টেকেশন’ আইটিসি ‘স্টোরি- দেভাসম রিসর্ট অ্যান্ড স্পা’। প্রকৃতির বুকে দু’দিনের জন্য প্রাণ ভরে শ্বাস নিতে চাইলে এই জায়গা কিন্তু আদর্শ। কেবল থাকাই নয় সঙ্গে থাকছে প্রাচীন ভারতের নানা থেরাপির ব্যবস্থাও। চাইলে উপভোগ করতে পারবেন তাও। রাত কাটানোর জন্য আছে বিলাসবহুল ঘর, স্যুট এবং ভিলাও।
এখানে রয়েছে ১২টি থেরাপি রুম, একটি বিশেষ ‘যোগশালা’, ধ্যান করার স্থান, সুইমিং পুল, ফিটনেস সেন্টার এবং ছুটি কাটানোর জন্য জন্য অতিরিক্ত আরও অনেক সুবিধা। থাকছে যুগলে স্পা-এর উপভোগ করার সুবিধাও। পুজোয় প্রিয় মানুষের সঙ্গে নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চাইলে, তার ঠিকানা হতে পারে এই রিসর্টও।
খাদ্য রসিকরাও হতাশ হবেন না। থাকছে সারা দিন ধরে বাঙালিদের পছন্দের জলখাবার উপভোগ করার সুযোগও। অত্যাধুনিক এই রিসর্টের রেস্তোরাঁ ‘বারিক’-এ গেলেই পেয়ে যাবেন ‘শেফ স্পেশাল’ সিগনেচার পদও। ক্ষেত থেকে নিয়ে আসা টাটকা সবজির সেই সব পদ স্বাদে এবং মানেও অতুলনীয়। পুজোর খাওয়াদাওয়ার আনন্দ উপভোগ করতে চাইলে চেখে দেখতে পারবেন স্পেশাল ‘মহাভোজ থালি’। যা ষোলো আনা বাঙালি পদে পরিপূর্ণ। স্থানীয় খাবারদাবারের স্বাদ উপভোগ করতে চাইলে, রয়েছে সেই বন্দোবস্তও। শুধু অর্ডার করতে হবে এখানকার সিগনেচার পদ ‘কেটলি ও কাহিনি’।
পুজোর সময় ১০ থেকে ১৩ তারিখ অতিথিদের জন্য থাকছে আরও নানা আকর্ষণ। জমিয়ে খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে রয়েছে সাংস্কৃতির অনুষ্ঠানের আয়োজন।
তাই প্রাচীন আভিজাত্য, স্থানীয় সংস্কৃতি, আধুনিক সুযোগ সুবিধা সঙ্গে সবুজ প্রকৃতির পরম স্পর্শ, এই সব যদি একই ছাদের তলায় পেতে চান তাহলে একবার এই পুজোতে ঢুঁ মের আসতেই পারেন আইটিসি ‘স্টোরি- দেভাসম রিসর্ট অ্যান্ড স্পা’ থেকে।