
উৎসবের মরশুম এখনও শেষ হয়নি। রাত পোহালে ভাইফোঁটা। পরের সপ্তাহে আবার জগদ্বাত্রী পুজো। তার সঙ্গে বিয়ের মরশুমও শুরু হয়ে যাবে। আর এসবের মাঝে জমিয়ে চলছে খাওয়া-দাওয়া। তার সঙ্গে দেহে জমছে দূষিত পদার্থ।

লাগামহীন খাওয়া-দাওয়া কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো রোগ ডেকে আনতে পারে। তার সঙ্গে মেদও জমতে থাকে দেহে। তাছাড়া গ্যাস-অম্বলের সমস্যা প্রায়শই লেগে রয়েছে। এসব রোগের হাত থেকে বাঁচতে গেলে শরীরকে ডিটক্সিফাই করা জরুরি।

শরীরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বের করার জন্য সকালবেলা খালি পেটে জল পান করা দরকার। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। তার সঙ্গে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। কিন্তু শুধু জল পান করলেই যে সবসময় উপকার পাবেন, তা নয়।

শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে আপনি মশলার সাহায্যও নিতে পারেন। শরীরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বের করার জন্য হলুদের সাহায্য নিন। এই মশলা পুষ্টিতে ভরপুর, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি শরীর থেকে টক্সিন দূর করে।

হলুদের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। এটি মেটাবলিজম ও ইমিউনিটি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। রোজের ডায়েটে আপনি ৩ উপায়ে হলুদকে রাখতে পারেন।

দুধে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। এতে দেহে হলুদ ও দুধের পুষ্টি পাবেন। পাশাপাশি হলদি-দুধ শরীরে জমে থেকে টক্সিন দূর করবে। দুধ ফোটানোর সময় এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো ও গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। খাওয়ার সময় এতে মধু মিশিয়ে নিন।

হলুদের ডিটক্স ওয়াটার বানিয়ে পান করতে পারেন। একটি কাচের জারে ঈষদুষ্ণ জল নিন। এতে আদা ও লেবুর কুচি, পুদিনা পাতা, দারুচিনির কাঠি মিশিয়ে সারারাত রেখে দিন। পরদিন সকালে এই জলে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। তারপর এটি পান করুন। এই জল দেহের প্রদাহ ও রোগের ঝুঁকি কমাবে। পাশাপাশি টক্সিন দূর করবে।

হলুদের চা পান করেও আপনি শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে পারেন। ২ কাপ জলে ১ টুকরো তাজা হলুদ ও আদা থেঁতো করে দিয়ে দিন। এই জল ফুটিয়ে নিয়ে ছেঁকে নিন। এতে মধু ও লেবুর জল মিশিয়ে পান করুন। বদহজম, বাতের ব্যথা কমাতেও উপকারী হলুদের চা।