
কখনও চড়া রোদ। আবার কখন এক পশলা বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না। বর্ষায় একবার ভিজলেই সঙ্গী হতে পারে জ্বর। এই মরশুম হল জীবাণু, ভাইরাসের আঁতুড়ঘর। বর্ষাতেই রোগে পড়া সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

মাথায় বৃষ্টির জল পড়লেই শেষ। মাথা ধরে থাকে। তারপরই শুরু হয় হাঁচি, কাশি। আর দিন শেষ হতে না হতেই জ্বরে পড়লেন। এই মরশুমে এটা যেন কমন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জ্বর হলে মুখে স্বাদ থাকে না। শরীর দুর্বল হয়ে থাকে। এই সময় যত বেশি প্রোটিন সমৃদ্ধ, স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন। আর এমন ৫টি খাবার রয়েছে, যা জ্বরের সময় খেলে সমস্যা বাড়তে পারে।

জ্বরে মুখরোচক খাবার খাওয়ার ইচ্ছে হয়। কিন্তু মাটন খাবেন না। রেড মিটে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা শারীরিক সমস্যা বাড়াতে পারে। তাছাড়া মাটন হজম হতেও সময় নেই বেশি। জ্বরে সহজপাচ্য খাবার খাওয়াই ভাল।

জ্বরে অনেক সময় মুখের স্বাদ চলে না। তখন কিন্তু ভুলেও পিৎজা, পাস্তা খাবেন না। এতে চিজ থাকে। সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি। এই সময় এই ধরনের খাবার খেলে শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম নষ্ট হতে পারে।

ঠান্ডা লেগে জ্বর হলে ভুলেও কোল্ড ড্রিংক্স খাবেন না। সমস্যা বাড়বে। এই পানীয়তে প্রিজারভেটিভ, চিনি থাকে। কোল্ড ড্রিংক্স খাওয়ার বদলে ডাবের জল, ওআরএস-এর জল খান। দ্রুত সেরে উঠবেন।

বিরিয়ানি, চাউমিন, এগরোলের মতো যে কোনও ফাস্ট ফুড জ্বরে খাওয়া যাবেন না। বাইরের খাবারে নুন, তেল, চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। মশলাদার হয় এই ধরনের খাবারগুলো। এগুলো পেটের সমস্যা বাড়াতে পারে। সুস্থ হয়ে উঠতে সময় লাগবে।

জ্বর থেকে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে চিকেন স্টু, ডিম সেদ্ধ, বিভিন্ন ধরনের ডাল সেদ্ধ কিংবা ডালের জল ইত্যাদি খান। কিন্তু বাড়িতেও চিকেন কারি, ডিমের তরকারি খাবেন না। এই সময় চিকেন, ডিম জরুরি। কিন্তু যতটা হালকাভাবে খাওয়া যায়, তত তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন।