Muscle Cramps: চলতে চলতে পায়ে হঠাৎ টান? নুনের জাদুতে ভ্যানিশ হবে ব্যথা
Health Tips: গরমে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে সমস্ত জল বেরিয়ে যায়। এর জেরে পেশিতে টান ধরে। এই সমস্যা এড়াতে প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে। এটাই একমাত্র উপায়। এছাড়া পেশিতে টান ধরলে দ্রুত আরাম পেতে মেনে চলতে পারেন ঘরোয়া প্রতিকার।
কখন ঘুমের মধ্যে আবার কখন সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় পায়ের শিরায় টান ধরে। অনেক সময় হাঁটতে হাঁটতেও শিরায় টান ধরে। শরীরে জল ও ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি থাকলে এই ধরনের সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়। অনেকের কোমরে বা উরুর কাছে টান ধরে।
গরমে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে সমস্ত জল বেরিয়ে যায়। এর জেরে পেশিতে টান ধরে। এই সমস্যা এড়াতে প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে। এটাই একমাত্র উপায়। এছাড়া পেশিতে টান ধরলে দ্রুত আরাম পেতে মেনে চলতে পারেন ঘরোয়া প্রতিকার।
যে অংশে টান ধরবে তার উপর বরফ লাগাতে পারেন। বরফের মধ্যে প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে। পেশির উপর আইস প্যাক লাগান। তারপর ধীরে ধীরে জায়গাটা মালিশ করুন। এরপর একদম বেশি নড়াচড়া করবে না। ধীরে ধীরে পেশিতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
বরফ দিতে সমস্যা হলে আপনি গরম সেঁক দিতে পারেন। গরম সেঁক দিলে এটি রক্ত চলাচলকে সচল রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া অনেকেই ব্যথার উপর গরম সেঁক দিতে পছন্দ করেন। এটা আরামদায়ক।
হলুদ ও ফিটকিরি ব্যবহার করতে পারেন। হলুদ ব্যথা কমায় এবং ফিটকিরি রক্তকে জমাট বাঁধা থেকে প্রতিরোধ করে। ফিটকিরি ও হলুদের পেস্ট বানিয়ে পেশির উপর লাগান। মালিশ করবেন না। দিনে দু'বার এই টোটকা মানলেই পেশির প্রদাহ কমে যাবে।
উইন্টারগ্রিন অয়েল পেশির জন্য আরামদায়ক। এটা এক ধরনের এসেনশিয়াল অয়েল। আমন্ড অয়েলের সঙ্গে দু'ফোঁটা উইন্টারগ্রিন অয়েল মিশিয়ে পেশির উপর মালিশ করুন। এতে ধীরে ধীরে ব্যথা ও টান ধরা কমে যাবে।
সজনে পাতা ব্যথা, প্রদাহ কমাতে দারুণ উপযোগী। এটি রক্তকে সচল রাখতে সাহায্য করে। তাজা সজনে পাতা বেটে তার রস বের করে নিন। এই রস পেশির উপর লাগিয়ে হালকা হাতে মালিশ করুন। এতে আপনি পেশিতে টান ধরা থেকে মুক্তি পাবেন।
পেশির টান ধরা থেকে মুক্তি দিতে নুন। সুতির কাপড়ে নুন বেঁধে সেটা গরম করে নিন। এই গরম সেঁক আপনি পায়ের উপর দিতে পারেন। যদি ঘন ঘন পেশিতে টান ধরার সমস্যায় ভোগেন, তাহলে নুন চিনির জল লেবু দিয়ে পান করুন।
