Diabetes Diet: ডায়াবেটিসে মিষ্টিমুখ করতে কিশমিশ খাওয়া কি উচিত? রইল টিপস
Raisin: যে সব খাবারে ফ্রুক্টোজ়ের মতো প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে, সেগুলো ডায়াবেটিসের রোগীদের সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই। তবে, কিশমিশ এক্ষেত্রে কতটা উপযোগী, জেনে নিন।
ডায়াবেটিসের রোগীদের খাওয়া-দাওয়া নিয়ে নানা বাধানিষেধ থাকে। সুগার রোগীদের বাইরের খাবার যেমন চলে না, তেমনই বেশ কিছু উদ্ভিজ্জ খাবার খাওয়া নিয়েও সচেতন থাকতে হয়। বেশি মিষ্টি এমন খাবার খাওয়া যায় না।
শীতের মরসুমে শুকনো ফল খাওয়ার চল বাড়ে। এতে আমন্ড, আখরোটের সঙ্গে কিশমিশ থাকে। কিন্তু কিশমিশ অন্যান্য ফলের তুলনায় মিষ্টি। কিন্তু ডায়াবেটিসের রোগীদের কি কিশমিশ খাওয়া উচিত? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
যে সব খাবারে ফ্রুক্টোজ়ের মতো প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে, সেগুলো ডায়াবেটিসের রোগীদের সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই। তবে, কিশমিশ এক্ষেত্রে কতটা উপযোগী, জেনে নেওয়া যাক।
কিশমিশের মধ্যে গ্লুকোজ় এবং ফ্রুক্টোজ়ের মতো প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে। কিন্তু কিশমিশ খেলে হঠাৎ করে সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়ার কোনও ভয় নেই। কারণ এই খাবারে রয়েছে ফাইবার।
ফাইবার চিনি শোষণে সাহায্য করে। রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার। বিশেষত ডায়াবেটিসের রোগীদের হজম স্বাস্থ্যকে ভাল রাখে ফাইবার।
ডায়াবেটিসের রোগীরা চাইলে মুঠো-মুঠো কিশমিশ খেতে পারবেন না। কিশমিশে ক্যালোরি রয়েছে। আর অত্যধিক পরিমাণে খেলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে কিশমিশ খাওয়াই ভাল।
কিশমিশের গ্লাইসেমিক সূচকও বেশি। যার অর্থ, ডায়াবেটিসের রোগীদের বুঝেশুনে কিশমিশ খাওয়া উচিত। সাধারণত ডায়াবেটিসের রোগীদের গ্লাইসেমিক সূচক কম এমন খাবার খাওয়া উচিত।
কিশমিশের মধ্যে এক বিশেষ ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ইনসুলিন সংবেদনশীলতার বাড়াতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ ক্ষতির হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে।