
বিশ্বজুড়েই জনপ্রিয় পানীয় হল চা। অফিস থেকে ফিরে এক কাপ চা খেলে সারাদিনের সমস্ত ক্লান্তি, চাপ দূর হয়ে যায়। যদিও চা শুধু আড্ডা জমাতে বা মুডকে ভাল রাখতে সাহায্য করে না, এই পানীয়ের রয়েছে আরও অনেক গুণ।

চা খেলে আপনি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারেন। আবার মেদও ঝরতে পারেন। চায়ের মধ্যে ক্যাফেইন ও পলিফেনল থাকে। এই দুই উপাদান রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা ঠিক রাখে এবং মেটাবলিক রেট উন্নত করে। এতেই ওজন কমানো সহজ হয়।

এমন বেশ কিছু চা রয়েছে, যা লিভারে জমে থাকা টক্সিন দূর করে, ফ্যাট গলিয়ে দেয় এবং ভুঁড়ি কমাতে সাহায্য করে। এই ধরনের পানীয়কে বলা হয় স্লিমিং টি। কোন-কোন চায়ে মিলবে এসব উপকারিতা, রইল টিপস।

ওয়েট লসের দুনিয়ায় বরাবরই গ্রিন টি-এর কদর বেশি। প্রায় ১১ ধরনের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গ্রিন টি ওজন কমাতে সাহায্য করে। বিশেষত, যে সব মানুষ টাইপ-২ ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাঁরাও ওজন কমাতে পারবেন গ্রিন টি খেয়ে।

অনেক ক্ষেত্রে মানসিক চাপ ও অনিদ্রার সময় ওজন বাড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রে রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ক্যামোমাইলের চা পান করুন। ক্যামোমাইলের চাও ওজন কমাতে সহায়ক।

দেহে মেটাবলিজম যত উন্নত হবে, ওজন কমানোও সহজ হবে। তাই আপনি গরম জলে আদা ফুটিয়ে এবং এতে লেবুর রস মিশিয়ে চা খান। আদা ও লেবুর রসের চায়ে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, এটি আপনাকে খিদে কমাতে এবং মেদ গলাতে সাহায্য করবে।

দুধ-চিনি ছাড়া লিকার চা খেলেও আপনার ওজন কমবে। ব্ল্যাক টি-এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্ল্যাভনয়েড রয়েছে, যা চর্বি গলাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি দেহে অক্সিডেটিভ চাপ কমায় এবং মেটাবলিজম উন্নত করে।

সকালবেলা লেমনগ্রাসের চা পান করতে পারেন। এই চা আপনার দেহে জমে থাকা সমস্ত দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দেবে। পাশাপাশি মেটাবলিজম উন্নত করবে। লেমনগ্রাসের চা পান করেও আপনি ওজন কমাতে পারেন।