
শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে এবং ক্ষারীয় মাত্রা কমতে শুরু করলে আর্থ্রাইটিসের যেমন ঝুঁকি বাড়ে, তেমনই পরিপাকতন্ত্রের অবনতি-সহ নানা শারীরিক সমস্যা শুরু হয়। তাই ক্ষারীয় ফল ডায়েটে রাখা জরুরি

বদহজম, অ্যাসিডিটি থেকে একাধিক শারীরিক সমস্যার সমাধান রয়েছে রান্নাঘরের বিভিন্ন মশলায়। তবে এগুলির মধ্যে অন্যতম গোলমরিচ। এটিকে কালো মরিচও বলা হয়। বিভিন্ন পুষ্টিগুণ-সমৃদ্ধ হওয়ায় মশলার রাজা হিসাবেও পরিচিত গোলমরিচ

গোলমরিচে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফ্ল্যাটুলেন্স এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ফলে পাচনতন্ত্র এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকরী এই মশলা

বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করা হয় গোলমরিচ। এটা রান্নার স্বাদ বাড়ায়। তবে রান্নায় দেওয়ার থেকে গোলমরিচ কাঁচা খেলে পাকস্থলী থেকে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড বের হয়। এটি শরীরকে প্রোটিন ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে এবং অন্ত্র পরিষ্কার করে। ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন

প্রতীকী ছবি।

কেবল বদহজম, পেট ফাঁপার সমস্যার উপশমে নয়, গাঁটে-গাঁটে ব্যথা-বেদনা থেকে মুক্তি পেতেও দারুণ কার্যকরী গোলমরিচ। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় গোলমরিচ অন্তর্ভুক্ত করলে গাঁটে ব্যথা, ফোলাভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়

বর্তমানে ওবেসিটি, দেহের অতিরিক্ত ওজন একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যা এড়াতে গোলমরিচ খুব ভাল বিকল্প। এতে উপস্থিত পিপারিন এবং অ্যান্টি-ওবেসিটি বৈশিষ্ট্য দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করে

গোলমরিচে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ এবং ক্যারোটিনয়েড রয়েছে, যা ক্যানসার-সহ অনেক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। হলুদের সঙ্গে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে ক্যানসার প্রতিহত হয়। এছাড়া সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগা থেকেও রক্ষা করে