Black Tea vs Coffee: ব্ল্যাক কফি না কালো চা, স্বাস্থ্যের জন্য কোন পানীয়তে চুমুক দেবেন?
Healthy Drinks: কারও পছন্দ ব্ল্যাক কফি, আবার কেউ ভালবাসেন লিকার চা খেতে। চা হোক বা কফি দুধ-চিনি ছাড়া খাওয়াই ভাল। কিন্তু কোনটা বেশি স্বাস্থ্যকর জানেন? ব্ল্যাক কফি নাকি ব্ল্যাক টি? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
কারও পছন্দ ব্ল্যাক কফি, আবার কেউ ভালবাসেন লিকার চা খেতে। চা হোক বা কফি দুধ-চিনি ছাড়া খাওয়াই ভাল। কিন্তু কোনটা বেশি স্বাস্থ্যকর জানেন? ব্ল্যাক কফি নাকি ব্ল্যাক টি?
দিনের শুরুতে চা-কফি কোনওটাই খাওয়া উচিত নয়। তবে, ওয়ার্কআউট করার আগে ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন। এটি আপনাকে শরীরচর্চা করার জন্য এনার্জি দেবে এবং মেটাবলিজম বাড়াবে।
ব্ল্যাক কফির মধ্যে ক্যাফেইনের পরিমাণ বেশি থাকে। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম রয়েছে। এগুলো দেহে একাধিক রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ এপিডেমিয়োলজিতে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, নিয়মিত ব্ল্যাক কফি খেলে ওবেসিটি ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। এমনকি ব্ল্যাক কফিতে ঘি মিশিয়ে খেলে ওজন কমে।
ব্ল্যাক কফির তুলনায় ব্ল্যাক চায়ে ক্যাফেইনের পরিমাণ কম। তাছাড়া এতে কোনও স্যাচুরেটেড ফ্যাটও থাকে না। দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ব্ল্যাক টি।
যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরাও ব্ল্যাক টি খেতে পারেন। মাত্র ২ ক্যালোরি রয়েছে এক কাপ ব্ল্যাক টিয়ের মধ্যে। এছাড়া সর্দি-কাশি হলে ব্ল্যাক চায়ের সঙ্গে আদা, এলাচ, দারুচিনি মিশিয়ে খেলে দুর্দান্ত উপকার পাওয়া যায়।
ব্ল্যাক কফি ও চা দুটোই কিন্তু স্বাস্থ্যকর। তবে, দুটো পানীয় কখন খাবেন, সেটা আপনার উপর নির্ভর করছে। যেমন জ্বর হলে ব্ল্যাক টি খেতে পারেন। আর ওয়ার্কআউটের আগে ব্ল্যাক কফি।
দিনের শুরুতে যেমন ব্ল্যাক কফি বা চা খাবেন না, তেমনই বিকালের পরও এই ধরনের পানীয় ছুঁয়ে দেখবেন না। এতে ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর ৩-৪ কাপের বেশি চা-কফি খাবেন না।