সায়ম কৃষ্ণ দেব
Dec 20, 2024 | 1:07 PM
এতদিন জানা ছিল বয়স বেশি হলে স্ট্রোক হতে পারে। এমনকি সেই স্ট্রোকের কারণে পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে পড়া থেকে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তবে এখন কিন্তু আর তাই নয়। চিকিৎসকেরা বলছেন কম বয়সি অর্থাৎ ২০-৩০ বছরের মধ্যে যুবক যুবতীদের মধ্যেও হু হু করে বাড়ছে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা।
সাধারণত অনিয়মিত জীবনযাপন, বয়সজনিত কারণে, মানসিক চাপ খুব বেড়ে গেলে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। চিকিৎসকরা বলছেন এখন অল্প বয়সীদের থাবা বসাচ্ছে হাইপারটেনশন, সুগারের মতো রোগ। আর তার জেরেই বাড়ছে অল্প বয়সীদের স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা।
পরিসংখ্যান বলছে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে এক বছর যতজন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন তাঁর মধ্যে ১০-১৫ শতাংশ রোগীর বয়স এখন ৪০ বছরের নীচে। অর্থাৎ এই রোগকে 'আমার কিছু হবে না বলে' উড়িয়ে দেওয়ার জায়গা কিন্তু আর নেই।
অনিয়মিত জীবন যাপন বা জিনগৎ দোষের কারণে তরুণ ভারতীয়দের মধ্যে বাড়ছে এই রোগের প্রবণতা। প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি করে খাওয়া, ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান এই রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, যা ভারতীয় তরুণদের মধ্যে প্রবলভাবে বর্তমান।
দীর্ঘ সময় কাজ করা, রাতে ঘুমের অভাব এবং দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ স্ট্রোকের কারণ হতে পারে। নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। কী কী দেখলে আগেই সাবধান হওয়া প্রয়োজন?
মস্তিষ্কের একটি অংশে রক্ত প্রবাহ ব্যাহত হলে স্ট্রোকের ঘটনা ঘটে। ফলে মস্তিষ্কের কোষগুলির ক্ষতি হতে পারে। তবে এই রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার লক্ষণ প্রথমেই বোঝা যায় তাহলে এই রোগ হওয়া থেকে আটকানো যেতে পারে।
শরীরের একদিকে হঠাৎ অসাড়তা বা দুর্বল হয়ে যাওয়া, কথা বলতে বা বুঝতে অসুবিধা হওয়া, এক চোখে কম দেখা বা ঝাপসা হয়ে আসা এই রোগের লক্ষণ হতে পারে। অনেকের আবার ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়া, মাথা ব্যথা বা মাথা ঘোরার মতো সমস্যা দেখা যায়।
অনেক ক্ষেত্রে এই সব মিনি স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে। যা পরবর্তীকালে বড় স্ট্রোকের পূর্ব লক্ষণ। এই ধরনের কিছু হলে অবহেলা করবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজন হলে পরীক্ষা করান। নিয়মিত ও মার্জিত জীবন যাপনের চেষ্টা করুন।