
সামনেই পুজো। হাতে আর কয়েকটা দিন। তাই এই সময় সব ছেড়ে বাঙালি মন দিয়েছে বাড়তি মেদ ঝরাতে। কারণ একটাই পুজোয় চাই ছিপছিপে শরীর। আর এই জন্য শুধু শরীর চর্চাই যথেষ্ট কি? একেবারেই নয়।

শরীরের চাই বাড়তি কিছু। এই সময় ডায়েটে নজর দেওয়াটা বিশেষভাবে জরুরি। তাই শরীরকে দিতে হবে এমন কিছু যা আপনাকে দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে এবং শুধু তাই-ই নয়, পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখবে।

ওজন কমাতে গ্রিন টি-এর উপর ভরসা করেন অনেকেই। তবে এটা হয়তো অনেকেই জানেন না শরীরের জন্য় সমান উপকারী গ্রিন কফিও। গ্রিন কফি পান করার পর অন্তত আধা ঘণ্টা কিছু খাবেন না। আপনি যদি খুব বেশি ওজন কমাতে না চান তবে সকালে একবার এটি পান করাই যথেষ্ট।

গ্রিন কফি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণ করে। এ কারণে মানুষ সহজে অসুস্থ হয় না। এছাড়া গ্রিন কফি পান ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা, আলঝেইমার এবং ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধ করে।

গ্রিন কফি শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতেও কাজ করে। বাজারে দুই ধরনের গ্রিন কফি পাওয়া যায়। একটিতে সবুজ বীজ থাকে এবং অন্যটিতে চায়ের গুঁড়ো থাকে। আপনি চাইলে অনলাইনেও অর্ডার করতে পারেন। আপনি যদি কফি বীজ ব্যবহার করেন তবে সারারাত জলে এই বীজ ভিজিয়ে রাখলে বেশী উপকার পাবেন।

সকালে, এই জলটি মৃদু আঁচে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। তারপর ফিল্টার করুন এবং হালকা গরম পান করুন। যদি কফি পাউডার ব্যবহার করেন তবে এটি ভেজানোর দরকার নেই। এর জন্য জল ভাল করে ফুটিয়ে নিন, তারপর তাতে এক চামচ গুঁড়ো গুলে হালকা গরম করে পান করুন।

Green Coffee সবুজ কফিতে চিনি একেবারেই ব্যবহার করবেন না, একেবারে প্রয়োজনে মধু ব্যবহার করুন।এটি দুবারের বেশি পান করবেন না অন্যথায় শরীরে চিনির মাত্রা কম হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। সাধারণত গ্রিন টি পান করলে কোনো সমস্যা হয় না, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা, পেট খারাপের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।

যদি এমন কিছু হয় তবে বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করার পরেই এটি করুন। দীর্ঘদিন ধরে গ্রিন কফি খাবেন না। একাবার ওজন কমে এলে খাওয়া বন্ধ করুন। ফের পরে প্রয়োজন হলে খাবেন। তবে টানা খেয়ে যাবেন না। তাহলেই বিপদ বাড়বে।