
প্রেমে পড়লে প্রিয় মানুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হওয়াটা খুব স্বাভাবিক ব্যপার। একে অপরের ঠোঁটে নিশ্চিত আশ্রয় খোঁজাও সম্পর্কের একটা স্বাভাবিক দিক। তবে আপনি কি জানেন, দুটি মানুষ সম্পর্কে জড়ালে সব থেকে বেশি কী খোঁজে? তা হলে একে অপরের আদর। কথাটা শুনতে হালকা লাগলেও বিষয়টি কিন্তু মোটেও হালকা নয়।

সমীক্ষা বলছে যৌন সম্পর্কের চেয়েও বেশি মানুষ যেটা চায়, তা হল কাডলিং। 'মুন্নাভাই এমবিবিএস'-এর 'জাদু কি ঝাপ্পির' কথা মনে আছে তো? সেই 'ঝাপ্পি' কিন্তু খোঁজে মানুষের ক্লান্ত শরীর মন। এ কথা দেখা গিয়েছে সমীক্ষাতেও। ২০২০ সালে লন্ডনের গোল্ডস্মিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনস্তত্ত্ব বিভাগ এই বিষয়ে ৪০ হাজার মানুষকে নিয়ে একটি সমীক্ষা করে।

যেখানে দেখা যায়, ৭৯ শতাংশ মানুষ তাঁর মনের মানুষটির কাছ থেকে শারীরিক সম্পর্ক নয়, নিরাপদ আশ্রয় আর স্নেহের আদর খোঁজেন। যা আজকাল জেন জি প্রজন্মের কাছে 'কাডলিং' বলেও পরিচিত। জানেন কী কী উপকার মেলে এই 'কাডলিং' থেকে?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন সকালে ঘুম থেকে কিছুক্ষণ প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলে বা আদর করলে শরীরে অক্সিটোসিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। এমনকি শরীরের ক্ষতি করে এমন হরমোন অর্থাৎ কর্টিজল জাতীয় হরমোনের ক্ষরণ কমে।

অকারণে অবসাদ থেকে অফিসে কাজের চাপের ফলে যে মানসিক চাপ তৈরি হয়, তা কাটাতেও এই আদর উপকারী। কাডলিং করলে শরীরে হ্যাপি হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। ফলে মানসিক চাপ কমে।

রাতে ঘুম খুব ভাল হয়। প্রিয় মানুষ পাশে থাকলে আপনি নিরাপদ এবং নিশ্চিন্ত বোধ করেন। যা আপনার মনকে শান্তি দেয়। প্রিয় মানুষের স্পর্শ এক্ষেত্রে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। ফলে আপনার মস্তিষ্ক হালকা হয়, ঘুম ভাল হয়।

সারা দিন প্রচুর খাটাখাটনি করেছেন। কায়িক পরিশ্রম লাঘব করতে পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। প্রিয় মানুষের কাছাকাছি থাকলে কিংবা পোষ্যের ছোঁয়া পেলে সেই যন্ত্রণা লাঘব করা সম্ভব।

নানা গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত কাছের মানুষ বা প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরেন, আদর করেন, তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যান্যদের তুলনায় অনেক বেশি।