
বয়স ২৫ হোক বা ৫০, যে কোনও বয়সে আপনার থাইরয়েড গ্রন্থি কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। বাড়তে পারে থাইরয়েডের সমস্যা। আর শরীরে একবার থাইরয়েড ঘটিত রোগ বাসা বাঁধলে সারাজীবন তা পিছু ছাড়ে না।

থাইরয়েড হরমোন ঠিকমতো কাজ না করলে মেটাবলিজমও কাজ করে না। পাশাপাশি সর্দি-কাশি, পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যা, ক্লান্তি, অবসাদের মতো একাধিক সমস্যা চেপে ধরে।

থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিলে রোজ ওষুধ খেতে হবে। তবে, স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে আপনি থাইরয়েড হরমোনের কার্যকারিতাকে সচল রাখা যায়। কোন-কোন খাবার অবশ্যই খাবেন, দেখে নিন।

ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি ও র্যাশবেরির মতো ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও ফাইবারে পরিপূর্ণ। এসব পুষ্টি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, থাইরয়েডের সবচেয়ে বড় সমস্যা।

রোজ একটা করে আপেল খেলে থাইরয়েডের পাশাপাশি একাধিক রোগের ঝুঁকি কমাতে পারবেন। থাইরয়েড গ্রন্থির প্রদাহ কমাতে এবং থাইরয়েড হরমোনের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে আপেলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে রোজ ডিম খান। ডিমের মধ্যে ভিটামিন ডি রয়েছে, যা থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও ডিমে থাকা সেলেনিয়াম থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন বজায় রাখে।

টক দইয়ের মধ্যে আয়োডিন পাওয়া যায়, যা থাইরয়েডের কার্যকারিতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া টক দই প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ হওয়ায় অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং মেটাবলিজমে সাহায্য করে।

রোজের ডায়েটে কুমড়োর দানা রাখুন। এটি ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। থাইরয়েড হরমোন সংশ্লেষণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই বীজ।