
শরীর ফিট রাখার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল, প্রোটিন। পেশি গঠন থেকে শরীরে ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শরীরের পুষ্টি বজায় রাখতে অপরিহার্য প্রোটিন। সেজন্য প্রতিদিনের ডায়েটে প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার (ডিম, মাছ, মাংস, দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য, সবজি, ফল) রাখা উচিত

বেসন অথবা ডালের সঙ্গে সবজি সেদ্ধ দিয়ে ব্রেকফাস্ট করতে পারেন। ডাল যেমন শরীরে পুষ্টি জোগায়, তেমনই সবজি পাচনক্রিয়ায় সাহায্য করে। এছাড়া এগুলি খেলে দীর্ঘক্ষণ ক্ষিধে পায় না, মেদও জমার সম্ভাবনা নেই

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরে প্রবেশ করলে হার্টের সঙ্গে সংযুক্ত ধমনীগুলির ভিতর প্রোটিনের আস্তরণ জমতে থাকে। এর ফলে ধমনীতে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। তার ফলে স্ট্রোক এবং অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়

সলমন, ম্যাকেরলের মতো সামুদ্রিক মাছ এবং ডিমে প্রচুর আয়রন থাকে। প্রতিদিনের ডায়েটে এগুলি রাখলে দেহে আয়রনের ঘাটতি কমবে এবং অ্যানিমিয়ার সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে

কেবল হার্ট নয়, প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্রোটিন শরীর দেহের ওজন বাড়ায়। অতিরিক্ত প্রোটিন দেহে প্রবেশ করলে অতিরিক্ত অ্যামিনো অ্যাসিড ক্ষরিত হয়, যা মেদ হিসাবে শরীরে জমা হয়। এর ফলে দেহের মেদ এবং ওজন বাড়ে

অতিরিক্ত প্রোটিন লিভারের উপরেও পরোক্ষে প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত প্রোটিন-সমৃদ্ধ রান্না করা খাবার বা অতিরিক্ত দুগ্ধজাতীয় দ্রব্য ফাইবারের ঘাটতি হওয়ার অন্যতম কারণ। আর ফাইবার কম হলে ডায়ারিয়া হতে পারে। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যারও অন্যতম কারণ দেহের অতিরিক্ত প্রোটিন

অতিরিক্ত প্রোটিন কিডনির উপর চাপ বাড়ায়। দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত প্রোটিন দেহে জমতে থাকলে কিডনিজনিত নানা সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া সর্দি, মাথাব্যথার কারণও প্রোটিন হতে পারে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণা রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে

প্রোটিনের অভাবে যেমন মাথা ঘোরা, দুর্বলতা হয়। তেমনই দেহে প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্রোটিনও এই ধরনের সমস্যার কারণ হতে পারে। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বারবার গলা শুকিয়ে যাওয়াও অতিরিক্ত প্রোটিনের কারণ হতে পারে। তাই যাঁরা জিম করেন বা পেশিবহুল চেহারার জন্য প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট নেন, তাঁরা চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে প্রয়োজনীয় প্রোটিন নেবেন