
বাড়তি বয়সের সঙ্গে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা কমন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকাল অল্প বয়সিদের মধ্যেও এই সমস্যা জাঁকিয়ে বসেছে।

ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের মতো ইউরিক অ্যাসিডের বাড়বাড়ন্তের পিছনেও দায়ী অনিয়মিত জীবনযাপন। ভুল খাদ্যাভ্যাসের জেরেই দেহে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ে।

সাধারণত মদ্যপান বন্ধ করে দিলে, মাটন খাওয়া কমালে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কিন্তু অনেক সময় স্বাস্থ্যকর খাবার, শাকসবজি খেলেও কমতে চায় না ইউরিক অ্যাসিড।

ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে ঢ্যাঁড়শ এড়িয়ে চলাই ভাল। যদিও এই সবজিতে ফাইবার রয়েছে, যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সহায়ক। ঢ্যাঁড়শ খেলেও কম খান এবং দানা ছাড়া খান।

পালং শাক পুষ্টিতে ভরপুর। কিন্তু ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে পালং শাক এড়িয়ে চলাই ভাল। এই শাকের মধ্যে থাকা অক্সালেট ও বিভিন্ন উপাদান ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা যে কোনও মুহূর্তে বাড়িয়ে দিতে পারে।

ইউরিক অ্যাসিড ধরা পড়লে রান্নায় কম পরিমাণে টমেটো ব্যবহার করুন। এই সবজিতে অক্সালেট ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রার উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।

বেগুনের তৈরি পদ ইউরিক অ্যাসিডে না খাওয়াই ভাল। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে পিউরিন যুক্ত খাবার এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। বেগুনেও পিউরিন পাওয়া যায়, তাই এই সবজি না এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।

তেঁতুলের টক বা শরবত খাবেন না। তেঁতুলের মধ্যে থাকা ফ্রুক্টোজ দেহে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে, এই খাবারে ভিটামিন সি-ও পাওয়া যায়, যা ইউরিক অ্যাসিডের জন্য উপকারী।