
এখন বেশিরভাগ দম্পতিরাই ইনফার্লিটির সমস্যার সম্মুখীন হন। ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে পুরুষদের মধ্যে বেশি সমস্যা দেখা দেয়। শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণগত মান পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের কারণ। তবে, লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনলে আপনি এই সমস্যাও সহজেই দূর করতে পারবেন।

আপনিও যদি কম শুক্রাণুর সংখ্যা ও শুক্রাণুর খারাপ গুণগত মানের কারণে চিন্তায় থাকেন, আজ থেকে শরীরচর্চা করা শুরু করুন। অতিরিক্ত ওজন পুরুষদের মধ্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে। ২০১৭ সালের এক গবেষণা বলছে, প্রতিদিন ৫০ মিনিট করে অ্যারোবিক যোগব্যায়াম করলে বাড়বে শুক্রাণুর সংখ্যা।

যাঁরা সারাক্ষণ মানসিক চাপে থাকেন, ঠিকঠাক খাওয়া-দাওয়া করেন না, রাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না, তাঁদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বেশি। অ্যানজাইটি, মানসিক চাপ কমাতে না পারলে আপনার জীবন উন্নত হবে না। এক্ষেত্রেও নিয়মিত শরীরচর্চা করা জরুরি।

ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ধূমপান আপনার শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে। তার সঙ্গে নষ্ট করে দিতে পারে বীর্যের গুণগত মান। একইসঙ্গে, মদ্যপান, কোকেন, গাঁজার মতো মাদকদ্রব্য সেবনের কারণেও আপনার স্পার্ম কাউন্ট কমে যেতে পারে। লিপিডো বাড়াতে হলে এই বদঅভ্যাস ছাড়তে হবে।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার পুরুষদের মধ্যে শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে। এমনকী এতে শুক্রাণুর গুণগত মানও উন্নত হয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ শরীরে প্রদাহ কমায় এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

ভিটামিন সি হল এক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি, যা পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে এবং ইরেকশনের সমস্যা এড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া এই পুষ্টি পুরুষদের মধ্যে শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতেও সাহায্য করে।

শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে আপনি আয়ুর্বেদের সাহায্য নিতে পারেন। যৌনতা সম্পর্কিত সমস্যাগুলো এড়াতে অশ্বগন্ধার সাহায্য নিন। ২০১৬ সালের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সব পুরুষেরা ৯০ দিন পর্যন্ত ৬৭৫ মিলিগ্রাম অশ্বগন্ধা খেয়েছেন তাঁদের মধ্যে ১৬৭ শতাংশ শুক্রাণুর সংখ্যা বেড়েছে।

শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে আপনি মেথি ভেজানো জল পান করতে পারেন। এতে পুরুষদের মধ্যে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রাও বাড়ে। শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেথি ভেজানো জল শুক্রাণুর গুণগত মানও উন্নত করে। সুতরাং, এই ঘরোয়া উপায়েও আপনি বাড়াতে পারেন শুক্রাণুর সংখ্যা।