
পাকা আম ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ায়। তাই যাঁরা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বা গাঁটে ব্যথায় ভুগছেন, তাঁদের পাকা আম খাওয়া উচিত নয়

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে ওষুধের সাহায্য নিতেই হয়। কিন্তু ওষুধ খাচ্ছেন বলে, আর জীবনধারার উপর নজর দেবেন না, এই ভুল একদম নয়। বরং, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ও গাউটের ব্যথা কমানোর জন্য লাইফস্টাইলে বদল আনতেই হবে।

যে খাবার ও পানীয়তে চিনি রয়েছে, সেগুলো এড়িয়ে চলুন। মিষ্টি খাবার খাওয়ার প্রবণতা শারীরিক সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে হলে গোটা ফল খান।

এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে আপনার মদ ছাড়তেই হবে। অ্যালকোহল শরীরকে ডিহাইড্রেট করে দেয় এবং ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। বিয়ার, ওয়াইন, হুইস্কি সব ধরনের অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে তা কিডনি ফিল্টার করে শরীর থেকে বের করতে পারেন না। তখন কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। এই সমস্যা এড়াতে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। এতে কিডনি অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে বের করে দেবে।

২০১৬ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কফি শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বের করে দিতে সক্ষম। কফি শরীরে পিউরিনকে ভেঙে দেয় এবং ইউরিক অ্যাসিড উৎপাদনের হারকে কমিয়ে দেয়।

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে গেলে রক্তে শর্করার মাত্রাও ঠিক রাখা দরকার। ডায়াবেটিসের রোগী হলে আরও বেশি করে এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। এমন কোনও খাবার খাবেন না কিংবা কাজ করবেন না যার জেরে সুগার লেভেল বাড়তে পারে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে তা পায়ের বুড়ো আঙুল, গোড়ালি কিংবা হাঁটুতে জমা হয়। ব্যথাও মারাত্মক। দেহের চাপও যদি সেই সময় পায়ের উপর পড়ে, আরও যন্ত্রণা হতে থাকে। এই অবস্থায় দেহের ওজন কমানো দরকার। ওজনকে বশে রাখুন।