
সুস্থ থাকতে গেলে দেহে কোনওভাবেই পুষ্টির ঘাটতি দেওয়া যাবে না। যখনই কোনও ভিটামিন বা খনিজের অভাব তৈরি হবে, শরীরে নানা রোগ হানা দেবে।

দাঁত-চুল-হাড় গঠন থেকে শুরু করে দেহে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভিটামিন ও মিনারেল অপরিহার্য। এমনকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গঠনেও প্রধান ভূমিকা পালন করে পুষ্টি।

কিন্তু সমস্যা হল, রক্ত পরীক্ষা করানোর আগে পর্যন্ত অনেকেই বুঝতে পারেন না দেহে কোন কোন পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে। সবসময় সাপ্লিমেন্টই পুষ্টি ঘাটতি পূরণের একমাত্র উপায় নয়।

মহিলাদের দেহে প্রায়শই আয়রনের ঘাটতি দেখা যায়। যে কারণে রক্তাল্পতার সমস্যা মেয়েদের মধ্যে খুব কমন। এক্ষেত্রে আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। বেদানা, বিট, গাজর, মাংসের মেটে, সবুজ শাকসবজি, তিল খান।

চুল, নখ ও ত্বকের সমস্যা, মানসিক অবসাদ, ডায়ারিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা যদি বাড়তেই থাকে, বুঝবেন দেহে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি রয়েছে। এক্ষেত্রে সামুদ্রিক মাছ, ডিম, মাশরুম, মাংস ও মেটে খান।

বেশিরভাগ মানুষের দেহেই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দেয়। এই পুষ্টি ইমিউনিটি গঠনে, দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে রোজ ১৫ মিনিট রোদে দাঁড়ান।

বয়সের সঙ্গে চোখের জ্যোতি কমছে? দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার পিছনে ভিটামিন এ-এর ঘাটতিও দায়ী হতে পারে। ভিটামিন এ-এর অভাবে ত্বকের সমস্যাও দেখা দেয়। তাই রোজের ডায়েটে গাজর, মিষ্টি আলু, পেঁপে, ডিম, দুধ রাখুন।

মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদের মধ্যেও খুব কমন হয়ে দাঁড়িয়েছে থাইরয়েডের সমস্যা। দেহে আয়োডিনের অভাবে থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে দুগ্ধজাত খাবার, সামুদ্রিক মাছ খান।