
গরম ভাতে ঘি, আলু সেদ্ধ আর কাঁচা লঙ্কা অমৃতর মতো মনে হয়। পাঁচরকমের ভাজাভুজি, তরকারির চাইতে এই খাবার খেয়ে বেশি তৃপ্তি পাওয়া যায়। তাছাড়া স্কুল-অফিস বেরোনোর সময় এর চেয়ে সহজ খাবার আর কী বা হয়।

আপনি যে রান্নাতে দেশি ঘি দেবেন, তারই স্বাদ বদলে যাবে। দেশি ঘিয়ের স্বাদের পাশে সব তেলই ব্যর্থ। অনেকের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ ঘি। আবার অনেকেই স্বাস্থ্যের কথা ভেবে সীমিত পরিমাণে ঘি খান। কিন্তু এই গরমে ঘি খাওয়া কি ভাল?

ঘি তখনই শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, যখন অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয়। বেশি পরিমাণে ঘি খেলেই বেড়ে যেতে পারে আপনার কোলেস্টেরল লেভেল। কিন্তু এই উৎকট গরমে রোজ রোজ ঘি দিয়ে ভাত খাওয়া কি ভাল? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

যে হারে গরম পড়েছে তাতে একটুতেই ক্লান্তি বোধ করছে সকলে। এই অবস্থায় ঘি খেলে শরীরে শক্তির জোগান মিলবে। ঘিতে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। যদিও এই ফ্যাট শরীরকে পুষ্টি শোষণে এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

আয়ুর্বেদে ঘিয়ের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। ঘিয়ের মধ্যে ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই গরমে যাঁরা ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, তাঁরা পাতে অল্প ঘি রাখতে পারেন।

এই গরমে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা জরুরি। এক্ষেত্রেও আপনাকে ঘি সাহায্য করতে পারেন। ঘি শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। সুতরাং, এই গরমে ঘি খেলে আপনার শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হবে না। এমনকী আপনার ত্বকও কোমল থাকবে।

গরমে বদহজমের সমস্যাও দেখা যায়। এই সমস্যাকেও প্রতিরোধ করতে পারে এক চামচ ঘি। আয়ুর্বেদের মতে, ঘি হজম স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। তাছাড়া ঘিয়ের মধ্যে অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সংক্রমণের হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করে।

গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে ঘি। ঘিয়ের প্রকৃতির শীতল। ঘিয়ের মধ্যে প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে। ঘি শারীরিক প্রদাহ কমিয়ে শরীরকে শিথিল করতে সাহায্য করে। সুতরাং, এই গরমে আপনি ঘি খেতে পারেন। তবে, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড থাকলে ঘি এড়িয়ে চলাই ভাল।