
ফ্রোজেন শোল্ডার থেকে বাঁচতে বা তা কমাতে বেশ কয়েকটি কার্যকর উপায় অবলম্বন করা জরুরি। যেমন - সঠিক ভঙ্গিতে বসতে হবে - পিঠ সোজা রেখে চেয়ার ও টেবিলের উচ্চতা ঠিক করে বসুন। কম্পিউটার স্ক্রিন চোখের সমান রাখুন, যাতে ঘাড় ও কাঁধে বাড়তি চাপ না পড়ে।

প্রতি ঘণ্টায় নড়াচড়া করুন - অফিসে যতই কাজ হোক না কেন, দীর্ঘসময় একভাবে বসে থাকবেন না। প্রতি ঘণ্টায় অন্তত ২–৩ মিনিট দাঁড়িয়ে হাঁটুন বা হাত-পা নড়ান।

হালকা কাঁধের ব্যায়াম করুন - কাঁধ ঘোরানো (Shoulder Rotation), কাঁধ উঁচু করে নামানো (Shoulder Shrugs), হাত উপরে তুলে প্রসারিত কর, এই ব্যায়ামগুলো দিনে কয়েকবার করলে কাঁধের পেশি নমনীয় থাকে।

স্ট্রেচিং অভ্যাস করুন - চেয়ারে বসেই হাত ক্রস করে বুকের কাছে টেনে ধরা বা পেছনে হাত জোড়া দিয়ে টান দেওয়ার মতো স্ট্রেচিং ব্যায়াম ফ্রোজেন শোল্ডারের জন্য দারুণ কার্যকর।

গরম সেঁক ও ঠান্ডা সেঁক ব্যবহার করুন - দিনে এক বা দু’বার গরম পানির ব্যাগ কাঁধে সেঁক দিলে ব্যথা ও জড়তা কমে। আর যদি ফোলা বা হঠাৎ ব্যথা বেড়ে যায়, তাহলে বরফ প্যাক কাঁধে ১০ মিনিট ধরে রাখলে আরাম পাওয়া যায়।

সঠিক বালিশ ব্যবহার করুন - খুব উঁচু বা শক্ত বালিশে শোবেন না। আর কাঁধের ব্যথা বেশি হলে আক্রান্ত দিকের ওপরে ঘুমানো এড়িয়ে চলুন।

হাতের ওপর অতিরিক্ত চাপ দেবেন না - ভারী ব্যাগ এক কাঁধে ঝুলিয়ে নেওয়া, বারবার মাথার ওপরে হাত তুলে কিছু তোলা— এসব অভ্যাস কাঁধের ক্ষতি বাড়ায়।

চিকিৎসকের পরামর্শ নিন - যদি ব্যথা দীর্ঘদিন থাকে, হাত একদম নড়ানো না যায় বা দৈনন্দিন কাজ বন্ধ হয়ে যায়— তবে দেরি না করে অর্থোপেডিক বা ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিতে হবে।